চট্টগ্রামে শান্ত লকডাউন, মাঠে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি

এফএনএস (রুপম ভট্টাচার্য; চট্টগ্রাম) : | প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:২৮ পিএম
চট্টগ্রামে শান্ত লকডাউন, মাঠে বিএনপি-জামায়াতের কর্মসূচি

চট্টগ্রামে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ডাকা লকডাউন কর্মসূচিতে সকাল থেকেই তেমন সাড়া মেলেনি। তবে বিএনপি, জামায়াত ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো নগরজুড়ে সক্রিয় অবস্থান নেয়। সকাল থেকে নগরের গুরুত্বপূর্ণ মোড় ও প্রবেশপথে দেখা গেছে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের মিছিল, অবস্থান কর্মসূচি এবং বাইক শোভাযাত্রা।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সকাল থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগর ও আশপাশের উপজেলাগুলোতে কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর টহলও দেখা গেছে নগরজুড়ে। চট্টগ্রাম শহরে বুধবার রাত থেকেই দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন রয়েছে। লকডাউন ঘোষণায় সাধারণ জনজীবনে বড় প্রভাব না পড়লেও সড়কে যানবাহন কিছুটা কম দেখা গেছে। চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কায় যানবাহন মালিক ও চালকদের মধ্যে উদ্বেগ বিরাজ করছে। অফিস-আদালত খুললেও সেবাপ্রার্থীর উপস্থিতি তুলনামূলক কম ছিল।জানা গেছে, সকালে নগরের বিভিন্ন এলাকায় ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীরা মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছে। বাকলিয়া থানার শাহ আমানত সেতু এলাকা, চান্দগাঁও, বহদ্দারহাট ও মুরাদপুর মোড়ে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়ে শ্লোগান ও মাইকিং করেন। বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন মোড়েও তাদের মিছিল ও সমাবেশ হয়।ছাত্রশিবিরের মহানগর উত্তর শাখার প্রচার সম্পাদক সিরাজী মানিক জানান, নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য নাশকতা ঠেকাতে শহরজুড়ে বাইক শোডাউন চলছে। এতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মহানগর উত্তর সভাপতি তানজীর হোসেন জুয়েল ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাইমুনুল ইসলাম মামুন। তিনি জানান, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে তাদের অবস্থান কর্মসূচি দিনভর চলবে।মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা শওকত আজম খাজা জানান, আমাদের দলের পক্ষ থেকে কোনো পাল্টা কর্মসূচি নেই। তবে ছাত্রদলের কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি জানান, ওটা হয়তো তাদের নিজস্ব উদ্যোগ হতে পারে।উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগ সারাদেশে লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করে। একইদিন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করে। মামলার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর (সোমবার) ঘোষণা করা হবে। এতে আসামি হিসেবে রয়েছেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। জুলাই হত্যাযজ্ঞ নিয়ে এটাই প্রথম মামলা যার রায় ঘোষণার তারিখ নির্ধারিত হলো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে