বরিশালের মেঘনা নদীতে ইলিশ ধরার জন্য জাল ফেলে ইলিশের পরিবর্তে জেলেরা পাচ্ছেন পাঙ্গাস মাছ। গত কয়েকদিন থেকে এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে। ক্রেতারাও ইলিশের বদলে পাঙ্গাস মাছ ক্রয় করছেন। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে জেলেদের তথ্যদিয়ে মৎস্য আড়তদাররা জানিয়েছেন-মেঘনা, আড়িয়াল খাঁ, কালাবদর ও লতা নদীতে এখন ধরা পরছে প্রচুর পরিমানে পাঙ্গাস।
ফলে মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ মাছ না পাওয়ার দুঃখ ভুলিয়ে দিচ্ছে পাঙ্গাস মাছ। মেঘনার তীরের মাছঘাটে প্রতিদিন পাঙ্গাাসের জমজমাট বেচাবিক্রিও হচ্ছে। এতে জেলেসহ মাছ ব্যবসায়ীরা খুশি। একাধিক ইলিশ জেলেরা জানিয়েছেন, নদীতে জাল ফেলে ইলিশের চেয়ে পাঙ্গাস মাছ বেশি পাওয়া যাচ্ছে। মেঘনা তীরবর্তী চলকিল্লা এলাকার জেলে শামীম ফকির বলেন, জাল ফেলেছিলাম ইলিশের জন্য কিন্তু পাইছি ২৮ পিস পাঙ্গাস। জেলে মোতালেব হোসেন বলেন, নদীতে ইলিশ মাছ নেই। কিন্তু ইলিশ মাছের জাল ফেললে ধরা পরছে পাঙ্গাস মাছ। গত কয়েক দশকের মধ্যে এতো বেশি পাঙ্গাস মাছ ধরা পরেনি। তিনি আরও বলেন, নদীর পাঙ্গাসের দামও বেশি পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি ছয় থেকে সাড়ে ছয়শ’ টাকা দরে এসব পাঙ্গাস বিক্রি হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
অপর জেলে রিয়াজ হাওলাদার বলেন, গত কয়েকদিন ধরে মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে ইলিশ ধরা পরছেনা। তবে ইলিশ না পেলেও পাঙ্গাস মাছ ধরা পরছে। সর্বনিন্ম আড়াই থেকে সর্বোচ্চ ১২ কেজি ওজনের পাঙ্গাস মাছ পাওয়া যাচ্ছে। মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট এলাকার জেলে ইসমাইল হোসেন বলেন, এখন ভালো পাঙ্গাস মাছ ধরা পরছে। এ রকম আগে কখনো ধরা পরেনি। এখন মনে হচ্ছে পাঙ্গাস মাছের মৌসুম।
এখন শীত পাঙ্গাসের মৌসুম দাবি করে হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোহাম্মদ আলম বলেন, গত কয়েক বছরের মধ্যে জেলেরা এতো পাঙ্গাস মাছ নদীতে পায়নি। বর্তমানে নদীতে জেলেরা পাঙ্গাস মাছ শিকারের উৎসবে মেতে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, পাঙ্গাস মাছের প্রজনন মৌসুম শেষে পূর্বে দৈত্যাকার চাঁই দিয়ে পোনা শিকার করতো। গত মৌসুমে মেঘনা নদীতে ফেলা দৈত্যাকার চাই অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। জেলেরা যার সুফল এখন পাচ্ছেন।