সুন্দরগঞ্জে সহকারী ১০ শিক্ষা অফিসারসহ ১৭৪ পদ শুন্য

এফএনএস (মোঃ ইমদাদুল হক; সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা) : | প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর, ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
সুন্দরগঞ্জে সহকারী ১০ শিক্ষা অফিসারসহ ১৭৪ পদ শুন্য

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে সহকারি শিক্ষা অফিসারের ১১টি পদের মধ্যে ১০টি পদসহ ১৭৪ জন শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে। এর মধ্যে সহকারি শিক্ষা অফিসার ১০ জন, প্রধান শিক্ষক ৭১ জন এবং সহকারি শিক্ষক ৯৩ জন। এতে করে বিদ্যালয়সমূহে পাঠদান কার্যক্রমে অনেকটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসনিক জনবল সংকট, তদারকির অভাব এবং ভারপ্রাপপ্তের ভারে নুয়ে পড়েছে শিক্ষা ব্যবস্থা। বিশেষ করে চরাঞ্চলের শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্বকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।  

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সরকারি প্রাথমিক স্কুল রয়েছে ২৫৯টি, কেজি স্কুল ১২১টি, নিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল ২৪টি, অনিবন্ধিত বেসরকারি প্রাথমিক স্কুল ১১৭টি, এবতেদায়ী স্কুল ১৪৩টি। এছাড়া  ব্র্যাকসহ বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কর্তৃক পরিচালিত প্রাথমিক  স্কুল রয়েছে ৫০টি।

উপজেলার শহীদ মিনার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কমলা কান্ত বসুনিয়া বলেন, প্রাথমিক স্কুলে অফিস সহকারি বা করনিক নেই। সে কারনে প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কার্যক্রম করতে হয় প্রতিষ্ঠান প্রধানকে। অনেক সময় প্রতিষ্ঠান ছেড়ে প্রধানদের উপজেলায় আসতে হয়। যে সব প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নেই, দীর্ঘদিন থেকে সেই সব প্রতিষ্ঠানে সহকারি শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব পালনে করে আসছেন। সবমিলে শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষা কর্মকর্তার প্রতিষ্ঠান তদারকি এবং পুন্যপদ পুরুন অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সহকারি শিক্ষা অফিসার মুকুল চন্দ্র বর্মন বলেন, প্রতিষ্ঠানের দিক থেকে জেলার মধ্যে সুন্দরগঞ্জে বৃহত্তর একটি উপজেলা। এখানে ২৫৯টি সরকারি স্কুল রয়েছে। সহকারি শিক্ষা অফিসারের পদ রয়েছে ১১টি। অথচ সে স্থলে বর্তমানে আমি একাই দায়িত্ব পালন করছি। আমি অফিসের কাজ করব না স্কুল তদারকি করব। আমার একার পক্ষে তো এতোগুলো প্রতিষ্ঠান দেখা সম্ভাব নয়। এদিকে ৭১ জন প্রধান শিক্ষকসহ ৯৩ জন সহকারি শিক্ষকের পদ শুন্য রয়েছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নূর মোহাম্মদ বলেন, সহকারি শিক্ষা অফিসারসহ শিক্ষকদের শুন্য পদের চাহিদা বরাবরেই পাঠানো হচ্ছে অধিদপ্তরের। প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি বা নিয়োগ না হলে তো শুন্যপদ পুরুন সম্ভাব নয়। জনবল সংকটে শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেকটা ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে