শতাব্দীর গণতন্ত্রের মহানায়ক, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ভাসানী)’র সভাপতি স্বপন কুমার সাহার সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মুনসুর রহমান শেখ এর সঞ্চালনায়, সোমবার, সকাল ১১টায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ (ভিআইপি লাউঞ্জ)-এ উন্মুক্ত আলোচনা সভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতির বক্তব্যে স্বপন কুমার সাহা বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন ব্রিটিশ আমলে অন্যতম তৃণমূল রাজনীতিবিদ ও গণআন্দোলনের নায়ক। কৃষক আন্দোলনের নেতা হিসেবে তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু। তিনি ১৯২৯ সালে আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন, সেখানে বাঙালি তাকে ভাসানী নামে উপাধিতে ভূষিত করেন। তার পারিবারিক নাম ছিল আবদুল হামিদ খান। ১৯৩৪ সালে লাইন প্রথা আন্দোলনে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি হিন্দু-মুসলমান, বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শাসক ও শোষকের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তিনি ১৯৪৮ সালে অনুধাবন করেছিলেন যে, পাকিস্তানের অংশ হিসেবে পূর্ব পাকিস্তান একটি অচল রাষ্ট্রকাঠামো। ১৯৫৭ সালের কাগমারী সম্মেলনে তিনি পাকিস্তানের পশ্চিমা শাসকদের উদ্দেশ্যে “আসসালামু আলাইকুম” বলে পরিচিতি লাভ করেন। তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় এবং বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন। অনুষ্ঠানে মওলানা ভাসানীর রাজনৈতিক জীবন, সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ ও আধিপত্যবাদ বিরোধী সংগ্রাম, এবং দেশ ও জাতির প্রতি তাঁর অবদান পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি-জেএসপি’র চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ প্রমুখ।