সতেরই নভেম্বর বাংলাদশে একটি ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকলো: মিলন

এম এম মামুন; রাজশাহী | প্রকাশ: ১৮ নভেম্বর, ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
সতেরই নভেম্বর বাংলাদশে একটি ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকলো: মিলন
১৭ নভেম্বর (২০২৫) সোমবার বাংলাদশে একটি ঐতিহাসিক দিন। এই দিন সারাজীবন স্বরণীয় হয়ে থাকবে। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান খুনি হাসিনাকে এবং সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামমান খান কামাল এর বিরুদ্ধে ফাঁসির রায় হয়ে। ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধান নিজেকে মনে করেছিলো সারাজীবন ক্ষমতায় থাকবে এবং নিজেকে দেবদেবীদের সাথে তুলনা করেছিলে। যতদুর তিনি দেখতে পান সব কিছুর মালিক তিনি হয়েছিলেন বলে মোহনপুর জাহানাবাদ ইউনিয়নের অর্ন্তগত ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্তৃক আয়োজিত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ উপলক্ষে কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং পবা-মোহনপুর আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, এই ঐতিহাসিক রায়ে তিনটি ট্রায়াল হয়েছে, একটাতে আমৃত্য জেল ও অন্যটাতে ফাঁসি হয়েছে। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ফাঁসির রায় হয়েছে। বিচার কার্যে সহযোগিতা করার জন্য সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন এর পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে। শহীদদের নিকটজনদের রায় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা কিছুটা সন্তোষ্ট হয়েছে। কেউ খুশি হয়েছেন। বিএনপি বলেছে এই রায় শুধু অতিতকে স্মরন করা নয়, ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে যারা দায়িত্বে থাকবে সেটারো ইঙ্গিত বহন করে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন এখানকার মেরাজকে হত্যা করা হয়েছে। কে করেছে সবাই জানে। তার নাম নিতে ঘৃনা লাগে। ঐ ব্যক্তি গোটা পবা-মোহনপুরকে অস্থিতিশীল করে তুলেছিলো। শেখ হাসিনা একটু করলে তার চেলা-চামুন্ডারা তিনগুন বেশী করতো বলে জানান তিনি। মিলন আরো বলেন, পতিত সরকারের নেতাকর্মীরা দেখেন এখন দেশ ছাড়া, ঘরবাড়ী ছাড়া। বিএনপিও সতের বছর নির্যাতনে ছিলো। বেশীরভাগ নেতাকর্মী জেল খেটেছেন। কেউ দেশ ছাড়া হয়নি। এর মুল কারন হচ্ছে মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া। তিনি শত নির্যাতন সহ্য করে দেশে থেকে গেছেন। তাঁরমত কেউ ত্যাগ স্বীকার করেননি। তিনি বাড়ি হারিয়েছেন, সন্তান হারিয়েছেন, নিজে জেল খেটেছেন। এখন তিনি গুরুতর অসুস্থ। ছয়বার তিনি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন। আল্লাহ তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন বলে জানান তিনি। এ অবস্থাতেও তিনি এখনো দেশের মানুষের পাশে আছেন। তারই যোগ্য উত্তরস্বরী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখন দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আর পক্ষান্তরে ৫আগস্টের দুইদিন পূর্বে অনেক নেতাদের পালাতে সহযোগিতা করে পরেরদিন তিনি তার বোনকে নিয়ে চাটার্ড হেলিকপ্টারে করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে চলে যান। তিনি দেশের কথা এবং নেতাকর্মীদের কথা ভাবেননি। তার যদি দেশাত্বকবোধ থাকতো তাহলে আজ তাকে হাজতে থাকতো হতো। তার ফাঁসিকে আলিঙ্গন করার কথা ছিলো বলে উল্লেখ করেন তিনি। মিলন বলেন, আওয়ামীলীগ অতিতে ভূল করেছে। সিদ্ধান্ত ভূল ছিলো। যে দলের রাজনৈতিব দর্শন থাকেনা। যে দলের রাজনীতিক দলের চরিত্রে কালিমাযুক্ত, তাদের সাথে রাজনীতি করা ঠিক নয়। আগামীতে জনগণের রায় প্রতিফলিত হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ তৈরী হয়েছে।কিন্তু একটি রাজনৈতিক দল (জামায়াতে ইসলাম) নির্বাচন নিয়ে নানা তালবাহানা করছে। অথচ তারা এমপি প্রার্থী থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত প্রার্থী ঘোষনা করছে। তারা বেহেস্তের টিকিটের নামে জনগণের সাথে প্রতারণা করছে। এই প্রতারক দল থেকে দূরে থাকার আহ্বান জানান তিনি। সেইসাথে তারেক রহমান ঘোষিত ৩১দফা বাস্তবায়নের জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শসহ প্রতিটি কেন্দ্রে সেন্টার কমিটি কমিটি গঠন করার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য শেষ করেন মিলন। সোমবার মোহনপুরের জাহানাবাদ পাকুড়িয়া কলেজ মাঠে জাহানাবাদ ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি তৈয়বুর রহমান সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোহনপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামিমুল ইসলাম (মুন), সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আর রশিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক-১বাচ্চু রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক-২ শাহিন আক্তার শামসুজ্জোহা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজিম, জাহানাবাদ ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি জিল্লুর রহমান শাহ, সাধারণ সম্পাদক তাজ উদ্দীন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম ও ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি আব্দুল হাকিম বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। এরপর রাতে তিনি মোহনপুর উপজেলার ভাদুড়িয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে একই ধরনের কর্মী সভা করেন।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে