নীলফামারীর সৈয়দপুরে তাবলীগ জামাতের মার্কাজ মসজিদ নিয়ে বিরোধ সৃষ্ঠি হয়। সাদপন্থী ও যোবায়ের পন্থীর মধ্যে ওই বিরোধ চলে আসছিল। অবশেষে তাদের মধ্যে যে বিরোধ চলছিল তা নিষ্পত্তি হয়েছে।
এ উপলক্ষে ১৭ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় সভাপতিত্ব করেন সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নূর-ই-আলম সিদ্দিকী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সৈয়দপুর আর্থি ক্যাম্প ইনচার্জ,সৈয়দপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহদী ইমাম,সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মোঃ আব্দুল ওয়াদুদ, সৈয়দপুর সাংগঠনিক জেলা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহীন আকতার,সৈয়দপুর প্রেস ক্লাবের আহবায়ক মোঃ শওকত হায়াত শাহ্, বিএনপি নেতা আনিস আনসারী,উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী মাওলানা মাজহারুল ইসলাম, সফিকুল ইসলাম, মোঃ মকসুদ আলমসহ অনেকে।
সাদপন্থী ও যোবায়েরপন্থী উভয় পক্ষের ৫ জন করে সদস্য নিয়ে ওই সভার আয়োজন করা হয়। সভায় সকলের পরামর্শে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ সময় সকলেই বিরোধ নিস্পত্তির পক্ষে একমত হলে উভয় পক্ষ তা মেনে নেয়।
সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় আগামি ২৯ ডিসেম্বর এবং ২ জানুয়ারি এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উভয় পক্ষ পূর্বের ন্যায় ভিন্ন ভিন্ন ভাবে নিজ নিজ সাপ্তাহিক মাশওয়ারা,শবগুজারী ও অন্যান্য আমল করবেন।
সাদপন্থীগণ প্রতি মঙ্গলবার সাপ্তাহিক মাশওয়ারা এবং বৃহস্পতিবার শবগুজারী করবেন। যোবায়েরপন্থীগণ প্রতি সোমবার সাপ্তাহিক পরামর্শ এবং বুধবার শবগুজারী করবেন। অন্যান্য জোড় বা অনুষ্ঠানগুলি ভিন্ন ভিন্ন তারিখে সমঝোতার ভিত্তিতে পরিচালনা করবেন।
সভায় একটি মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়। উভয় পক্ষের কর্মকান্ডগুলি মনিটরিং করার জন্য সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল ওয়াদুদ এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মেহদী ইমামসহ অন্যান্য সদস্যগণকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। আগামি ২৭ নভেম্বর থেকে তাদের আমল কার্যক্রম শুরু করতে পারবেন।