চিতলমারীতে কাঠের জ্বালানী সাশ্রয়ের বিকল্প গোবরের মুঠে

এফএনএস (মোঃ একরামুল হক মুন্সী; চিতলমারী, বাগেরহাট) :
| আপডেট: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম | প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:১৪ পিএম
চিতলমারীতে কাঠের জ্বালানী সাশ্রয়ের বিকল্প গোবরের মুঠে

লম্বা পাট কাঠির সাথে মুষ্ঠি-মুষ্ঠি করে লাগিয়ে জ্বালানীর জন্য যে উপকরন তৈরি করা হয় তাকে মুঠে বলে । আবার এক হাতের তালু ভর্তি কোন গোবর গাছ কিংবা বেড়ার গায়ে সেটে শুখিয়ে যে জ্বালানী তৈরি করা হয় তাকে বলে ঘুটে। আর এই মুঠে এবং ঘুঠে তৈরির মধ্যে দিয়ে জ্বালানী সাশ্রয়ের বিকল্প পথ বেছে নিয়েছে বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়নের আমবাড়ী গ্রাম, চরবানিয়ারি ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রাম ও গরীবপুর গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামের গৃহবধুরা। 

 গ্রাম গুলো ঘুরে দেখা গেছে, কাঠের জ্বালানী সাশ্রয়ের বিকল্প হিসাবে গ্রামের গৃহবধুরা তাদের হাতালের গবাদি পশুর গোবর দিয়ে মুঠে নামের উপকরন তৈরি করে তা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করছেন। এছাড়া অনেক পরিবার এটি বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন। 

খড়মখালী গ্রামের বাসন্তী হীরা বলেন, তার হাতালে ৫টি গবাদী পশু আছে। তার  গোবর একত্রিত করে তিনি প্রতিদিন দেড় থেকে দুইশত মুঠে তৈরি করেন। এটি শুখানোর পর তিনি ১০০ মুঠে দেড় থেকে দুইশত টাকায় বিক্রি করেন। একই সাথে নিজের পরিবারের জ্বালানী চাহিদাও মেটান। 

একই গ্রামের হাসি রানী হীরা বলেন, মুঠে তৈরি করতে গবাদী পশুর গোবর, পাটকাঠী, তুষ,ধানের চিটা অথবা কুড়া লাগে। গোবর নরম করে লাঠি বা পাটকাঠীর সাথে এঁটে শুখানো হয়। শুখিয়ে তা জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ফলে কাঠের জ্বালানীর প্রয়োজন হয়না, জ্বালানীর সাশ্রয় হয়।

আমবাড়ী গ্রামের গনপতি রানা জানান, তার হাতালে দুইটি গাভী এবং দুইটি এঁড়ে গরু আছে। তার পরিবারের মহিলারা এর গোবর একত্রিত করে মুঠে তৈরি করেন এবং তা দিয়ে সারা বছর জ্বালানী চাহিদা মেটান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে