যশোরের চৌগাছায় থানা পুলিশের উপর হামলা করে মাদক মামলার এক আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন থানা পুলিশের এ.এস.আই শান্ত।
আসামি ধরতে ব্যর্থ হয়ে একজন নিরপরাধ ব্যাক্তিকে আটক করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে চৌগাছা থানার ওসির বিরুদ্ধে।
জানাযায়, ১৭ নভেম্বর রাতে চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ উপজেলার কুলিয়া গ্রামের মৃত লবাই মন্ডলের ছেলে মাদক মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি শাহান আলীকে গ্রেফতার করতে যায়।
শাহান আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশের গাড়িতে যায়। এসময় আসামির স্বজনরা পুলিশের কাছ থেকে শাহান আলীকে ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ১৮ নভেম্বর মঙ্গলবার দুপুরে চৌগাছা থানা পুলিশ কুলিয়া গ্রামে অভিযান চালায়। এসময় পুলিশ শাহান আলীর স্ত্রী রাশেদা বেগম, প্রতিবেশি শফিকুল ইসলামের ছেলে আশিকুল ইসলাম এবং শহিদুল ইসলামের ছেলে আবুজার রহমানকে আটক করে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে জেল হাজতে পাঠায়।
গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য লাল্টু মিয়া, আলতাফ হোসেন, ইসমাইল হোসেন, মহিদুল ইসলামসহ অনেকেই জানান আটকৃতদের মধ্যে আবুজার একজন দিনমজুর খেটে খাওয়া নিরিহ মানুষ। তিনি এসবের কিছুই জানতেন না। মাদকের বিরুদ্ধে কথা বলার কারনে আবু জারকে উল্লেখিত শাহান আলী একাধিক বার অত্যাচার করেছেন। ঘটনার দিন তিনি কামলা খেটে দুপুরে বাড়ি পৌছানোর সময় পুলিশ তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে গ্রামের ৩০/৩৫ গণ্যমান্য ব্যাক্তি থানায় এসে ওসির সাথে আবুজার সম্পর্কে কথা বলার চেষ্টা করলে তাদেরকে গালিগালাজ করে থানা থেকে বের করে দেয় বলে জানান গ্রামবাসি।
এদিকে এঘটনায় অনেকেই জানিয়েছেন, সীমান্ত এলাকায় চিহ্নিত মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসিরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। চৌগাছা থানা পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। এই শাহান আলী এবং তার পরিবারের কাছে এলাকার মানুষ জিম্মি হয়ে থাকে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলার সাহস পাইনি। শাহান আলীর বিরুদ্ধে এলাকাবাসি একাধিকবার অভিযোগ দিলেও পুলিশ এতোদিন অদৃশ্য কারনে নীরব ছিল।
চৌগাছা থানার এ এস আই শান্ত বলেন, আসামি ধরতে গিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। পরিবারের সদস্যদের সাধে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়। এর এক ফাকে আসামি সটকে পড়ে।
চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, যাদের আটক করা হয়েছে তাদের সকলকেই আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদের কেউ যদি নিরপরাধ থেকে থাকে পরে তদন্ত করে দেখব।