লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে বিএনপির তিন সংগঠনের উদ্যোগে তারুণ্যের এক সমাবেশে কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতাকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী করার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদর আলেকজান্ডার বাজারের প্রধান সড়কের সরকারী খাদ্য গুদামের সামনের একটি ট্রাকে মঞ্চ করে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন, রামগতি ও কমলনগর সংসদীয় আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সহশিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান।
উপজেলা যুবদল সভাপতি মো. শিবলী নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তারুণ্যের সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. সিরাজ উদ্দিন, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সাহেদ আলী পটু, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুর্তুজা আল-আমিন, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও দপ্তর সম্পাদক মো. আলমগীর, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শাহ মো. শিব্বির প্রমূখ।
নেতৃবৃন্দ গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপ ও দৃষ্টি কামনা করে বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানকে দলীয় প্রার্থী করা না হলে সংসদীয় এই আসনটি হাতছাছাড়া হবে। দলীয় নেতাকর্মীদের জন্য ত্যাগ ও অবদান রেখেছেন উল্লেখ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, আওয়ামী দুঃশাসন, অপশাসন, হামলা-মামলা নির্যাতনের শিকার নেতাকর্মীদের পাশে ছিলেন আশরাফ উদ্দিন নিজান। এলাকার দলীয় নেতা কর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ ভোটার সমর্থকদের কাছেও গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে তার। তাকে নির্বাচিত করে সংসদে পাঠাতে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করছেন বলে দাবি করেন তারা।
উল্লেখ্য আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমমনা কয়েকটি রাজনৈতিক দলের সাথে নির্বাচনী জোট হওয়ার কথা রয়েছে। ইতিমধ্যে বিএনপি ২৩৭ আসনে তাদের নেতাদের মনোনয়ন চুড়ান্ত করলেও জোট সঙ্গীদের জন্য ৬৩ আসন খালি রাখা হয়েছে। এর মধ্যে লক্ষ্ণীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনটিও রয়েছে। এ আসনে জোটের অন্যতম নেতা স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলক জেএসডির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী আ স ম আব্দুর রবকে ছেড়ে দেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। ইতোমধ্যে আ স ম রবের স্ত্রী তানিয়া রব এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন। এতে ক্ষুব্ধ হন দুই বারের সংসদ সদস্য বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান ও তার অনুসারী বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশের প্রধান অতিথি লক্ষ্ণীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এই সংসদ সদস্য তার বক্তব্যে বলেন, ‘বিগত ১৬ বছর ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে মামলা হামলার স্বীকার হয়েছি ৪ মাস জেল খেটেছি ১৭ দিন রিমান্ড ভোগ করেছি। আমার দুই বাড়ি ভাংচুর হয়েছে, ইফতার মাহফিলের হামলা হয়েছে। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে স্বৈরাচার আওয়ামী জালেম সরকারের পেটোয়া বাহিনী আমাদের ২ হাজার নেতাকর্মীর উপর হামলা করেছে। এসময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন ও পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক সাবেক কমিশনার দিদারুল ইসলাম খন্দকারকে পিটিয়ে আহত করে চোরের মতো বেধে পুলিশে দিয়েছে আবার মামলার আসামিও করেছে।
তিনি বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে বিএনপি জামায়াত জোটবদ্ধ হয়ে একসাথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। বিএনপি-জামায়াত ভাই ভাই তাদের রক্ত আমাদের রক্ত এক রক্ত। আগামী ফেব্রুুয়ারীর নির্বাচনে আমি বিজয়ী হলে তাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করবো, জামায়াত বিজয়ী হলে তাদের ভাই হয়ে একসাথে কাজ করবো।
তিনি বলেন, এ আসনের ১৬২ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩৪ টি ওয়ার্ডে সভা করেছি। সেখানে ১ লাখ ৪০ হাজার নারী পুরুষ ও মা বোনদের সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে তারা আমাকে কথা দিয়েছে আমার পাশে থাকবেন । আমার বিশ্বাস আছে আমার নেত্রী, আপসহীন দেশনেত্রী তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং আগামীর রাষ্ট্র নায়ক আমার নেতা তারেক রহমান আপনাদের সন্তান ও আপনাদের ভাই নিজানকে চুড়ান্ত ভাবে মনোনীত করবেন।’