কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামরীতে শহীদ বীরউত্তম লে: আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদের ৫৪ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর রায়গঞ্জ যুদ্ধে তিনি শহীদ হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে জয়মনিরহাটে অবস্থিত তার সমাধিতে উপজেলা প্রশাসন, ভূরুঙ্গামারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড, জয়মনিরহাট শহীদ লে. সামাদ নগর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সলিডারিটি ও আমরা মক্তিযোদ্ধার সন্তান সংগঠন পুস্পস্তবক অর্পণ করে। পরে দোয়া মাহফিল শেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ওয়ারেন্ট অফিসার আব্দুল মজিদ সরকারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপ জন মিত্র এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ সাইফুর রহমান রানা। অন্যান্যের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি বারী সরকার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম মতি, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি কাজী গোলাম মোস্তফা, রংপুর বীরউত্তম শহীদ সামাদ স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক আলমগীর হোসেন, ওসি আল হেলাল মাহমুদ, প্রধানশিক্ষক কাজিম উদ্দিন সরকার, ভূরুঙ্গামারী প্রেসক্লাব সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষে সাংবাদিক রফিকুল হাসান রনজু বক্তব্য রাখেন। মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের ১৯ নভেম্বর মধ্যরাতে ভূরুঙ্গামারী ও নাগেশ^রীর মধ্যবর্তী রায়গঞ্জ নামক স্থানের দখলে নিতে ৬নং সেক্টরের আওতাধীন সাহেবগঞ্জ সাব-সেক্টরের মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনী যৌথ অভিযান চালায়। এতে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি দল নিয়ে এগিয়ে যান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রথম ব্যাচের কমিশন্ড অফিসার লে. আবু মঈন মোহাম্মদ আশফাকুস সামাদ। যুদ্ধরত অবস্থায় রায়গঞ্জ ব্রিজের নিচে পশ্চিম পাশে পাকবাহিনীর একটি বুলেট তার মাথায় বিদ্ধ হলে তিনি ঘটনাস্থলে শহীদ হন। এ যুদ্ধে আলী হোসেন ও আবুল হোসেন নামের দুই ভাইসহ আব্দুল আজিজ নামের আরেক মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। তাঁদেরকে ভূরুঙ্গামারীর জয়মনিরহাট মসজিদের সামনে সমাহিত করা হয়।