পীরগঞ্জের এমপিওভুক্ত শিক্ষিকা কনা আক্তার তথ্য গোপন করে ৬’শ কিলোমিটার দুরের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও একই সময়ে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর, পৃথক ইনডেক্স নম্বরে এমপিওভুক্ত হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ হয়েছে। উপজেলার রসুলপুর মাহতাবিয়া দ্বি-মূখী স্কুল এন্ড কলেজের ওই শিক্ষিকা কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার একটি মাদরাসায় প্রভাষক (বাংলা) হিসেবে চাকুরী করছেন। অভিযোগ ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, পীরগঞ্জের রসুলপুর মাহতাবিয়া দ্বি-মুখী স্কুল এন্ড কলেজে সহকারী শিক্ষিকা (বাংলা) পদে কনা আক্তার ২০১৫ সালের ৯ মে যোগদান করে ১১৩৬৭৯৭ নং ইনডেক্সে এমপিওভুক্ত হন। এরপর তিনি ১ অক্টোবর/২০২৩ ইং ‘এনটিআরসি’ এর প্রভাষক (বাংলা) হিসেবে কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার মৌলভী বাজার ফারুকিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসায় যোগদান করে ০০৫৩৭২৯ নং ইনডেক্সে এমপিওভুক্ত হন। তিনি তথ্য গোপন করে তার পূর্বের প্রতিষ্ঠানে ইস্তফা না দিয়ে উল্লেখিত দুটি প্রতিষ্ঠানেই একই সময়ে শিক্ষক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর এবং পৃথকভাবে দুটি ইনডেক্সভুক্ত হলেও একটি প্রতিষ্ঠান থেকেই তিনি সরকারী অংশের বেতনভাতা উত্তোলন করেছেন বলে জানা গেছে। অপরদিকে ওই শিক্ষিকা প্রায় সাড়ে ৪ মাস পর ২০২৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী তার পূর্বের কর্মস্থল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ওই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে রসুলপুর মাহতাবিয়া দ্বি-মূখী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান পীরগঞ্জের উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ওই শিক্ষিকা তথ্য গোপন করে অন্য প্রতিষ্ঠানে যোগদান করায় তার বিরুদ্ধে প্রতারনার অভিযোগ করেছি। শিক্ষিকা কনা আক্তার বলেন, পৃথক ইনডেক্সে এমপিও হলেও আমি শুধু একটি প্রতিষ্ঠান থেকে সরকারী অংশের বেতনভাতা উত্তোলন করেছি। পীরগঞ্জ থেকে প্রায় ৬’শ কিলোমিটার দুরে চাকুরী করায় ইস্তফা দিতে দেরি হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমি একজন মহিলা মানুষ। আমাকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। রসুলপুর মাহতাবিয়া স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবেদ আলী জানান, তথ্য গোপন করায় কনা আক্তারের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষক অভিযোগ করেছেন। তদন্তের আলোকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান— নিবে।