জুলাই জাতীয় সনদের আইনি বৈধতা নিশ্চিত করা এবং ‘হ্যাঁ’ ভোটের পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আন্দোলনরত ৮ ইসলামী দল তাদের ঘোষিত কর্মসূচিতে পরিবর্তন এনেছে। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) জামায়াতে ইসলামী সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, আগামী ৩০ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের সাতটি বিভাগে সমাবেশ করবে দলগুলো। এই সিদ্ধান্তের ফলে পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে আংশিক সংশোধন আনা হয়েছে।
পটভূমিতে জানা যায়, বুধবার, ১৯ নভেম্বর বিকেলে ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির বৈঠকে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ আয়োজনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, সাত দিনে সাত বিভাগে বড় আকারের সমাবেশের মাধ্যমে জুলাই জাতীয় সনদ নিয়ে প্রচার জোরদার করা হবে। একই সঙ্গে ৫ দফা গণদাবি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোই দলগুলোর লক্ষ্য।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংশোধিত কর্মসূচি অনুযায়ী বিভাগীয় সমাবেশগুলো হবে ৩০ নভেম্বর রাজশাহী, ১ ডিসেম্বর খুলনা, ২ ডিসেম্বর বরিশাল, ৩ ডিসেম্বর রংপুর, ৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ, ৫ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম এবং ৬ ডিসেম্বর সিলেটে। সংগঠনের ভাষ্য অনুযায়ী, এসব সমাবেশই এখন আন্দোলনরত ৮ দলের মূল কর্মসূচি হিসেবে বিবেচিত হবে।
জামায়াতের পক্ষ থেকে জানানো বক্তব্যে বলা হয়েছে, “জুলাই জাতীয় সনদের আইনি ভিত্তি নিশ্চিত করা আমাদের আন্দোলনের অন্যতম প্রধান দাবি। বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করলে জনগণের অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।” দলগুলোর ৫ দফা গণদাবির মধ্যে রয়েছে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রদান, নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন, নির্বাচনকে সহনশীল করতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা।
সমমনা এই জোটে রয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি। দলগুলো মনে করছে, ধারাবাহিক বিভাগীয় সমাবেশ সরকারের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়াতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং আন্দোলনকে আরও সংগঠিত করবে।