সারিয়াকান্দির পৌর এলাকার সাহাপাড়ায় শতাধিক নারী কারিগর কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যাস্ত সময় পার করছেন । শীত মৌসুম এলেই কাক ডাকা ভোর থেকে নারী কারিগরদের ব্যস্ততা শুরু হয়ে চলে সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত।দেশের গণ্ডি পেড়িয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ সহ ভারত, মালয়েশিয়া ও ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশেও চলে যায় এখানকার কুমড়ো বড়ি।
জানা যায়, আবহমান গ্রাম বাংলার রান্নাঘরে মাছ তরকারিতে কুমড়ো বড়ির রসালো ঝোল নাম শুনলেই রসনা বিলাশীদের জিহবায় পানি চলে আসে।
বহুকাল থেকে বংশ পরম্পরায় সাহা পাড়ার নারী কারিগররা তৈরি করে আসছেন কুমড়ো বড়ি। আশ্বিন মাস থেকে শুরু হয়ে ফাগুন মাস পর্যন্ত চলে বড়ি তৈরির কাজ।
জানা যায়, সুস্বাদু এই সব্জি জাতীয় খাবার তৈরিতে একমাত্র মাষ কলােেইর ডাল ব্যবহার করা হয়। এই কলাই সারাদিন ভিজিয়ে রাখার পর বিশেষ কায়দায় উপরের কালো আবরণ তুলে ফেলায় নরম দানাদার সাদা অংশ হাতে অথবা মেশিনে মিহি দ্রবণ তৈরি করে পরিষ্কার সাদা কাপড়ের ওপর বড়ি বানানো হয়। তারপর সারাদিন রোদে শুকানোর পর বাজারে বিপননের উপযোগী করা হয়।আর পুরুষরা বিক্রির জন্য হাটে-বাজারে তোলেন। প্রতি কেজি কুমড়ো বড়ি বিক্রি করেন মান ভেদে ২৫০ টাকা থেকে শুরু করে ৪০০ টাকা। মধ্য বয়সী নিহার রানী সাহার সাথে কথা বলে জানা যায়,প্রধান উপকরণ মাশকলাই বাজার থেকে প্রায় ১২০ টাকা কেজি দরে ক্রয় করা হয়।এরপর সেই কলাই কুমড়ো বডি তৈরি প্রক্রিয়ায় নেওয়া হয়।ভোরে টানা ৩ ঘন্টা পরিশ্রমের পর সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে রোদে শুকাতে হয়।এই ভাবে একজন কারিগর দৈনিক ৪থেকে ৮কেজি পর্যন্ত কুমড়ো বড়ি তৈরি করেন।
কুমড়ো বড়ি বিক্রেতা সুমন কুমার সাহা বলেন, কুমড়ো বড়ি তৈরি নিয়ে পুরো গ্রাম এখন সরগরম হয়ে ওঠেছে । আবহাওয়া ভালো থাকলে ওই দামে বিক্রি করে এই মৌসুমেও শতাধিক নারী কারিগর কম করে হলেও ১৮ লাখ টাকা বিকিকিনি হওয়ার আশা করছেন। তারা আরো আশা করছেন, সরকারী সহযোগিতা পেলে এটিকে শিল্প হিসেবে বিকশিত করতে পারতেন। পুষ্টিবীদ আপেল মাহমুদ বলেন।