কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আজ শুক্রবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নিকলী সদর ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, গুরুই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান, ছাতিরচর ইউনিয়নের কয়েকজন জনতার মাধ্যমে মাপজুকের চেষ্টা করা হয়। এই দুই ইউনিয়ন থেকে চারজন আমিন নিয়ে ছাতিরচর গ্রামের চর ও বেতিয়ারচর কৃষকদের নিয়ে মাপ জুক করা হয়। শেষ পর্যন্ত আজ বিকেল ৪ টার দিকে আগামী সোমবার চরের জমির চূড়ান্ত রায় আসার সম্ভাবনা আছে বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, শালিশানদের পক্ষ থেকে জানা গেছে। জানা যায় গত কয়েকদিন আগে ছাতিরচর ইউনিয়নের চরের জমি দখলকে কেন্দ্র করে ছাতিরচর ঘাটে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই সংঘর্ষের ছাতিরচর ইউনিয়নের একজন প্রভাবশালী বিএনপির নেতার নির্দেশে সংঘর্ষ বাধলে উভয়পক্ষের ৮ জন আহত হয়। এর পর থেকে ছাতিরচর গ্রামের লোকজন ছাতিরচর হতে গুরই ইউনিয়নে আসা বন্ধ হয়ে যায়। একটি গ্রামের একটি ইউনিয়নের প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার গ্রামবাসী একেবারে জিম্মি হয়ে পড়ে। নিকলী উপজেলা প্রশাসনের পদক্ষেপে ছাতিরচর ইউনিয়নের জনগণ আবারো গত তিনদিন ধরে তারা জিম্মি থেকে মুক্তি পায়। নিকলী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে সরকারি জমি উভয় গ্রামবাসীর মধ্যে সমভাবে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গেছে।