আমি দেখেছি মৃত্যুর পরে আনেক জ্ঞানী,গুণী, শিক্ষক ও আপনজনের সমাধি অযত্ন -অবহেলায় পড়ে থাকে। এই বিষয়টি আমাকে খুব কষ্টদেয়। আর এই বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে জীবদ্দশায় আমি আমার নিজের বাড়ির অঙিনা সংলগ্ন নিজের সমাধি সৌধ নির্মান করেছি। যাতে করে আমার শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়ার পর অন্যকাউকে সমাধি সৌধ তৈরি করতে না হয়।
বাগেরহাট জজকোর্টে আইনজীবি পেশায় কর্মরত ৪০ বছরের যুবক অ্যাডভোকেট প্রতাব মণ্ডল শনিবার (২২ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাগেরহাট থেকে মুঠোফোনে এ সকল কথা বলেন। তিনি আরো জানান, সমাধি নির্মানের পাশা-পাশি মৃত্যুরপুর্বে নিজের অন্নদান অনুষ্ঠানও তিনি সম্পন্ন করবেন।
অ্যাডভোকেট প্রতাব মণ্ডল চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের গরিবপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মণ্ডল পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বাগেরহাট জজকোর্টে আইজীবি পেশায় কর্মরত আছেন। চিতলমারী সদর উপজেলা থেকে প্রায় তিন কিলো মিটার দুরে অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন এই সমাধি সৌধটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ফলকের আদলে নির্মান করা হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।
এ ব্যপারে চিতলমারী প্রেসক্লাবের সি: সহ-সভাপতি এস.এম. সহিদুল হক টিপু বলেন, অ্যাডভোকেট প্রতাব মণ্ডলের পরিকল্পনা অত্যন্ত চমৎকার এবং ব্যতিক্রমধর্মী। মৃত্যু সবার জন্য অবধারিত। কারো আর্থিক স্বচ্ছলতা থাকলে নিজের জীবদ্দশায় এই গুরুত্বপূর্ন কাজটি করে রাখা ভাল।