অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন

বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করতেই দেশে সহিংসতা ও নাশকতার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু

এফএনএস (হাফিজুর রহমান হৃদয়; নাগেশ্বরী, কুড়িগ্রাম) : | প্রকাশ: ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করতেই দেশে সহিংসতা ও নাশকতার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করতেই দেশে সহিংসতা ও নাশকতার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন। তিনি বলেন, প্রার্থী ঘোষণার পরপরই বিভিন্ন স্থানে আগুন, ভাঙচুর, সংঘর্ষ- রাজনৈতিক অস্থিরতা নতুন রূপ নিয়েছে, যা আসন্ন নির্বাচনের পরিবেশকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) বিকেল ৪ টায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ডি. এম. একাডেমি ফুটবল মাঠে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত ওয়ার্ড প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, বিএনপির কর্মীরা বাস ভাঙচুর, দোকানপাটে হামলা এবং মানুষ হত্যা করছে। তিনি বলেন ড. ইউনুস সরকার আপনাদের মনোনয়ন দেয়নি, দিয়েছে তারেক রহমান। তাহলে তারেক রহমানের বাসায় গিয়ে আগুন লাগান। দেশের সম্পদ ধ্বংস করবেন কেন? নির্বাচনের আগেই আগুন-জ্বালাও-পোড়াও শুরু হয়েছে-এবার আমরা এগুলো চলতে দেব না। তিনি আরও বলেন, যারা ভোট ডাকাতির চিন—া করবে, কেন্দ্র দখলে যেতে চাইবে, তাদের কঠোর হাতেই প্রতিরোধ করা হবে। জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমানও স্পষ্ট বলেছেন- ভোট ডাকাতি করতে এলে হাত ভেঙে দেওয়া হবে। দেশের অর্থনীতি, প্রশাসনিক দুর্নীতি ও সামাজিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে বলতে গিয়ে অধ্যাপক আকন বলেন,  দুর্নীতি বন্ধ করতে পারলে শ্রমিকদের বেতন দ্বিগুণ বাড়ানো সম্ভব, চাল সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিতরণ করা যাবে, বিদ্যুতের দাম এক-তৃতীয়াংশ কমানো সম্ভব, পরিবহন ভাড়া উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি বন্ধ হবে। তিনি বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের দেশে এবং তিন লাখের বেশি মসজিদ- মাদ্রাসা থাকার পরও আমরা দুর্নীতিতে পাঁচবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন- এটা লজ্জার। তেতুল গাছে আম পাওয়া যায় না; দুর্নীতিবাজদের হাতে দেশ দিলে উন্নতি হবে না। স্বাধীনতার পর নেতৃত্ব পরিবর্তনের দীর্ঘ ইতিহাস তুলে ধরে তিনি বলেন-সোনার বাংলা, সবুজ বাংলা, নতুন বাংলা অনেক স্লোগান হয়েছে। কিন্তু জনগণের জীবনে বাস্বব পরিবর্তন আসেনি। এবার জনগণ সৎ ও ইসলামি মূল্যবোধ সম্পন্ন নেতৃত্ব চায়। জোটগত প্রার্থী নিয়েও নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন-এই আসনে যদি জোটগতভাবে ইসলামি আন্দোলনের প্রার্থী দেওয়া হয়, তাহলে সবাই হাতপাখায় ভোট দেবেন। আর যদি জামায়াতের প্রার্থী হয়, তাহলে দাঁড়িপাল্লায় ভোট দেবেন।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আসলামী আন্দোলন বাংরাদেশ এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট এম. হাসিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম-১ আসনের সংসদ প্রার্থী হারিসুল বারী রনি, ইসলামি ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মাহবুবুর রহমান নাহিয়ানসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে