পুরান ঢাকায় ভূমিকম্পে ইটের রেলিং ভেঙে লক্ষ্ণীপুরের আবদুর রহিম (৫৫) ও তার স্কুলপড়ুয়া ছেলে আবদুল আজিজ রিমনের (১৩) মৃত্যুতে গ্রামে নেমে এসেছে গভীর শোক। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে পুরো এলাকায় চলছে শোকের মাতম। শনিবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলার আস সুন্নাহ মাদ্রাসা ও মসজিদ কমপ্লেক্স মাঠে বাবা-ছেলের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষ অংশ নিয়ে শোকাহত পরিবারের পাশে দাঁড়ান। পরে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।
ভোরে বাবা-ছেলের মরদেহ যখন গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়, তখন কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজন ও প্রতিবেশীরা। পুরো এলাকায় এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে সদর উপজেলার বশিকপুর এলাকার বাসিন্দা আবদুর রহিম পুরান ঢাকায় পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন। সদরঘাট এলাকায় তার ব্যবসা ছিল।
শুক্রবার সকালে ছেলে রিমনকে নিয়ে বাজার করতে বের হয়েছিলেন তিনি। ঠিক সেই সময় ঘটে ভূমিকম্প। ইটের রেলিং ধসে পড়ে ঘটনাস্থলেই বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়। পরিবারের দুই প্রিয় মানুষকে হারিয়ে স্বজনরা বাকরুদ্ধ।
এদিকে একই ঘটনায় নরসিংদীতে ছয়তলা নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে একতলা বাড়ির ওপর পড়ে দেলোয়ার হোসেন, তার ছেলে ওমর মিয়া ও মেয়ে তাসফিয়া আহত হন। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে ওমর মিয়ার মৃত্যু হয় এবং ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেলোয়ার হোসেনও মারা যান।
একই দিনের ভূমিকম্পে একাধিক পরিবারের এই অপূরণীয় ক্ষতি স্থানীয় মানুষকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। দুঃসময় মোকাবিলায় প্রশাসন ও স্থানীয় সংগঠনগুলো পরিবারগুলোর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে।