বেগমগঞ্জের ছয়ানি ইউনিয়নে চলাচলের জায়গা দখল করে দেওয়াল নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে কামাল উদ্দিন ও বশির উদ্দিন এর বিরুদ্ধে। শুক্রবার বিকেলে বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী আবুল কাশেম। রাজগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই ইউনুস ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে জবর-দখলকারীরা ক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এসময় তারা পুলিশের সামনে ভুক্তভোগীদের এলোপাতাড়ি লাঠি-সোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে পানিতে ফেলে দেয়। আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কামাল উদ্দিন ও বশির উদ্দিন নামে দু'জন, সাংবাদিকদের বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে তাদের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা হামলা চালানোর চেষ্টা করে। এর জের ধরে রাতে ভুক্তভোগী আবুল কাশেমের রান্না ঘর ও গোয়াল ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তার গরুর শরীরের কিছু অংশ পুড়ে যায়। এলাকাবাসী জানায়, দোয়ালিয়া আফতাব উদ্দিন হাজী বাড়ির মৃত মফিজ উল্যার মৃত্যুর আগে চার ছেলে ও এক মেয়ে রেখে যান, ওয়ারিশ সূত্রে সম্পত্তির মালিক ছেলে মেয়েরা হলে ও জায়গা খালি থাকায় মফিজ উল্যার বড় ভাই মৃত নাদেরেরজ্জামান এর ছেলে কামাল উদ্দিন ও বশির উদ্দিন গং ৫৪ ডিসিমেল সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে। বিষয়টি মফিজ উল্লাহর ছেলেরা টের পেয়ে দেওয়ানি আদালতে মামলা দায়ের করে।শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় আদালত দুই পক্ষকেই শান্ত থাকার জন্য বলে এবং ঘটনা তদন্তে এডভোকেট মোঃ ওমর ফারুক কমিশনার হিসেবে ঘটনা তদন্ত করে বিগত ১৮/৫/২০২৫ তারিখে কোর্টে রিপোর্ট পেশ করেন। আদালত ২০২৬ সালের ৪ জানুয়ারি শুনানির দিন ধার্য করেন। কামাল উদ্দিন ও বশির উল্লাহ এলাকায় চিহ্নিত ভূমিদস্যু হিসেবে পরিচিত। আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে জায়গা দখল করায় তাদের বিচার দাবি করেছে এলাকাবাসী।