রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পোশাকসামগ্রী নিয়ে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

এফএনএস (রুপম ভট্টাচার্য; চট্টগ্রাম) : | প্রকাশ: ২২ নভেম্বর, ২০২৫, ০৬:৩০ পিএম
রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পোশাকসামগ্রী নিয়ে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) পোশাকসামগ্রী ক্রয়ে ই-জিপি টেন্ডারে পিপিআর আইন-২০২৫ লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা অনুযায়ী ই-জিপি টেন্ডারে সরাসরি স্যাম্পল জমা দেওয়ার কোনো নিয়ম না থাকলেও আরএনবি টেন্ডারে ওই শর্ত যুক্ত করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অংশগ্রহণকারী ঠিকাদাররা।ঠিকাদারদের অভিযোগ, স্যাম্পল দাখিল করতে হলে নির্দিষ্ট দপ্তরে শারীরিকভাবে উপস্থিত হতে হয়, যা স্থানীয় প্রভাবশালী ও সন্ত্রাসীদের বাধার কারণে অনেকেই করতে পারছেন না। ফলে প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় সরকারি রাজস্ব ও ক্রয়স্বচ্ছতা-দুটোই ঝুঁকির মুখে পড়ছে।গত ৫ নভেম্বর আরএনবির পক্ষ থেকে প্রকাশিত ই-জিপি দরপত্রে নেভি ব্লু কাপড় (২৪৮৬ মিটার), জলপাই সবুজ কাপড় (৩২১১ মিটার), বুট জুতা (৪৯১ জোড়া), কেডস-মোজা, ও ব্যারেট ক্যাপসহ মোট পাঁচটি পণ্যের জন্য প্রায় ৬৬ লাখ টাকার ক্রয় পরিকল্পনা দেওয়া হয়। সেখানে চারটি বিশেষ শর্ত রাখা হয়, যার একটি হলো প্রতিটি মালামালের স্যাম্পল দরপত্র খোলার আগেই দপ্তরে জমা দিতে হবে-না করলে দরপত্র বাতিল বলে গণ্য হবে।কিন্তু রেলওয়ে ওয়ার্কস ম্যানেজার, পাহাড়তলীর আরেক ই-জিপি টেন্ডারে একই প্রতিষ্ঠানের আওতায় স্যাম্পল জমা দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। এতে একই প্রতিষ্ঠানের ভিন্ন ভিন্ন টেন্ডারে ভিন্ন নিয়ম প্রয়োগের বিষয়টি আরও প্রশ্ন তৈরি করেছে।অভিযোগ প্রসঙ্গে আরএনবি পূর্বাঞ্চলের চিফ কমান্ড্যান্ট আশাবুল ইসলাম বলেন-“অভিযোগ পাওয়ার পর আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। এখন ঢাকা ও চট্টগ্রাম কমান্ড্যান্ট অফিসে ওপেন টেন্ডার জমা দেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে, যাতে কোনো ঠিকাদার বাধার মুখে না পড়ে। স্যাম্পল দেখার উদ্দেশ্য-পোশাকের গুণগত মান নিশ্চিত করা।”তবে তিনি স্বীকার করেন, কয়েকজন ঠিকাদার স্যাম্পল জমা দিতে সমস্যার কথা তাঁকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন। ভয় ও নিরাপত্তাহীনতার কারণে কেউ লিখিত অভিযোগ জমা দিতে সাহস পাচ্ছেন না। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম মোঃ সুবক্তগীনকে এ বিষয়ে বক্তব্য নেওয়ার জন্য কল দিয়ে পাওয়া যায়নি।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে