দুদক চেয়ারম্যান

সিলেটে ৭৩ টি অভিযোগ, দুর্নীতি রোধ সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করার আহবান

এফএনএস (এইচ এম শহীদুল ইসলাম; সিলেট) :
| আপডেট: ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম | প্রকাশ: ২৩ নভেম্বর, ২০২৫, ০৭:৩৪ পিএম
সিলেটে ৭৩ টি অভিযোগ, দুর্নীতি রোধ সৎ ও যোগ্য নেতৃত্ব নির্বাচিত করার আহবান

‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে তারুণ্যের একতা, গড়বে আগামীর শুদ্ধতা’ স্লোগানে সিলেটে দুদকের ১৯১তম গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর লক্ষ্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি, সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তরের সেবার মান উন্নয়ন, সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি রোধ এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ।

রোববার সকালে সিলেটের কবি নজরুল অডিটরিয়ামে শুরু হওয়া গণশুনানিতে প্রধান অতিথি ছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ আবদুল মোমেন। সিলেট জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি বা বঞ্চনার শিকার হওয়া নাগরিকরা মোট ৭৩টি অভিযোগ তুলে ধরেন। এসব অভিযোগ যাচাই-বাছাই করে যথাযথ নিষ্পত্তির আশ্বাস দেওয়া হয়।

গণশুনানিতে সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কের ধীরগতি ও অনিয়ম, সিলেট-ঢাকা রুটে বিমানের টিকিটের উচ্চমূল্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ জানান।

সিলেট জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলমের সভাপতিত্বে গণশুনানিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবর আজিজী, দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম প্রমুখ। এছাড়া সিলেটের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রধানরা অংশ নেন।

এরপূর্বে দুদক চেয়ারম্যান ড. আবদুল মোমেন সিলেটের আলমপুরে দুদক সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, “নির্বাচনে সৎ ও যোগ্য নেতৃত্বই দুর্নীতি রোধ করতে পারে। সন্তানের কাছে ঘুষখোর হিসেবে পরিচিত হওয়ার চেয়ে লজ্জার কিছু হতে পারে না। তাই আমাদের কাজের নৈতিকতা বজায় রাখা উচিত।”

তিনি বলেন, “সিলেট একটি পূণ্যভূমি, যেখানে দুর্নীতি হওয়া উচিত নয়। এজন্য সকলকে সতর্ক ও সোচ্চার থাকতে হবে।” তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০০৮ সালের নির্বাচনের হলফনামার উদাহরণ তুলে ধরেন, যেখানে ৫.২ একর কৃষিজমির তথ্য দেখানো হলেও দুদকের অনুসন্ধানে ২৯ একর ধরা পড়ে। তবে দুদক বিষয়টি তদন্ত করলেও মনোনয়ন বাতিলের ক্ষমতা নেই।

ড. মোমেন সতর্ক করেন, যদি আমরা নিজেই দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকি, তাহলে আমাদের সন্তানরাও তা স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে না। তিনি বলেন, “সিলেট দেশের অন্যতম ধনী জেলা। যেখানে সম্পদ বেশি, সেখানে দুর্নীতিও কিছুটা বেশি হতে পারে। তবে সৎ মানুষ নির্বাচিত হলে দুর্নীতি কমানো সম্ভব।”

তিনি সাংবাদিকদের ভূমিকাকেও গুরুত্ব দিয়ে বলেন, “দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ করে সাংবাদিকরা দুর্নীতিবাজদের মুখোশ উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন।” দুদক কোনো বিচারকারী প্রতিষ্ঠান নয়; তাদের কাজ হলো মামলার প্রমাণ আদালতে উপস্থাপন করা। বিচার প্রক্রিয়ার দায়িত্ব আদালতের।

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে দুদক কমিশনার মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী, দুদক সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহিম, মহাপরিচালক মোঃ আকতার হোসেনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে