ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বরিশাল-৩ (বাবুগঞ্জ-মুলাদী) আসনে এখনো প্রার্থী চূড়ান্ত করেনি বিএনপি। এতে দলটির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে একধরনের অনিশ্চয়তা ও হতাশা। প্রার্থী না থাকায় নির্বাচন কেন্দ্রীক টানা কোনো প্রচারণা চলছে না বিএনপির পক্ষ থেকে।
অপরদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রায় ১০ মাস আগেই এ আসনে দলটির বরিশাল মহানগরের আমির অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবরের নাম ঘোষণা করেছে। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই তিনি কর্মী সমর্থকদের নিয়ে ধারাবাহিকভাবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের মতে, জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন মুহাম্মদ বাবর প্রতিদিন বাবুগঞ্জ ও মুলাদীর বিভিন্ন এলাকায় একাধিক উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি নিয়মিতভাবে স্থানীয় মানুষের খোঁজখবর নিচ্ছেন, সুখে-দুঃখে পাশে থাকছেন এবং অতীত সরকারের দুঃশাসন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে একটি বৃহত রাজনৈতিক দলের নৈরাজ্যের বিষয় ভোটারদের সামনে তুলে ধরছেন। তার সাথে স্থানীয় জামায়াতের নেতাকর্মীরাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সূত্রে আরও জানা গেছে, অপরদিকে বিএনপি এখনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় দলটির অভ্যন্তরে হতাশা বিরাজ করছে। মাঠে সক্রিয় রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি)। ওইসব দলের প্রার্থীরাও ইতোমধ্যে প্রচারণা জোরদার করেছেন। তবে মাঝে মধ্যে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী একাধিক নেতার নেতৃত্বে শো-ডাউন দেয়া হয়।
বরিশাল-৩ আসনে ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী উপাধ্যক্ষ মাওলানা মো. সিরাজুল ইসলাম যিনি দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা সভাপতি। এবি পার্টির প্রার্থী দলের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের পক্ষেও নিয়মিত প্রচারণা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিএনপি এখন পর্যন্ত কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করায় জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং এবি পার্টির প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা সুযোগ কাজে লাগিয়ে আসনটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। তবে এ আসনে বিএনপি প্রার্থী দিলে পরিস্থিতিতে পরিবর্তন আসতে পারে এবং প্রতিযোগিতা আরও চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।