বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. রবিউল ইসলামকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি মো. আমির খানকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
পুলিশের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা নজরদারি ও মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে আমির খানের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আমির খান বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের নতুন চর জাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা খলিল খানের ছেলে।
আলোচিত এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আগরপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সরকারি পুলিশ পরিদর্শক মো. দেলোয়ার হোসেন গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন-গ্রেপ্তারকৃতকে আজ বুধবার (২৬ নভেম্বর) বরিশালের আদালতে সোর্পদ করা হবে।
উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার মৃত্যুদন্ডের রায়ে উল্লাসিত হয়ে গত ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের আগরপুর বন্দরে ছাত্রদল নেতাকর্মীরা মিষ্টি বিতরণ করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রস্তাবিত সদস্য সচিব আউয়াল হাওলাদারের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।
একপর্যায়ে আউয়াল ও তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে রবিউল ইসলামকে হত্যা করে। একই হামলায় কমপক্ষে আটজন আহত হয়। এ ঘটনায় নিহত ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলামের বাবা মিজানুর রহমান বাদি হয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আউয়ালসহ ২১ জনের নামোল্লেখ করে আরও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে গত কয়েকদিন থেকে অব্যাহতভাবে ছাত্রদল নেতা রবিউল ইসলামের খুনীদের গ্রেপ্তারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে।
তবে স্থানীয়ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজনৈতিকভাবে হয়রানীর উদ্দেশ্যে আলোচিত ওই মামলায় ঘটনার সময় ঢাকায় অবস্থান করা একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রকৃত খুনীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন।