চলনবিল অধ্যুষিত পাবনার চাটমোহরে এখন আমন ধান কাটার উৎসব চলছে। আমনের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে স্বস্তির হাসি ফুটে উঠেছে। এ উপজেলায় রোপা ও বোনা দুই ধরণের আমন ধানেই এ মৌসুমে ভালো ফলন হয়েছে। কৃষক এখন আমন ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। আমন কাটা হলেই তারা রবিশস্য ফসল চাষে মনোযোগি হবেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ধান কাটা ও মাড়াই চলছে। তবে কৃষিশ্রমিক সংকটে ধান কাটা ও মাড়াই কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে।
সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে,একেক এলাকায় একেক সময় ধান কাটা শুরু হয়েছে। ধান বোনা আর রোপন করার উপর নির্ভর করে ধান কাটার সময়। উপজেলা কৃণি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে,চলতি মৌসুমে চাটমোহর উপজেলায় বোনা আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৮ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আর রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭৬০ হেক্টর জমিতে। উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান জানালেন,বুধবার (২৬ নভেম্বর) পর্যন্ত ৬০ ভাগ জমির বোনা আমন ও ৪৫ ভাগ জমির রোপা আমন কর্তন শেষ হয়েছে। ফলনও ভালো। প্রতি বিঘায় ৭ মণ হারে বোনা আমন ও ১৮ মণ হারে রোপা আমন ধানের ফলন হয়েছে।
উপজেলার ছাইকোলা এলাকার কৃষক ইসমাইল হোসেন জানালেন,তিনি ২ বিঘা জমিতে রোপা আমন ও ১ বিঘা জমিতে বোনা আমন ধানের আবাদ করেছেন। ধান কাটা হয়ে গেছে। ফলনও ভালো। তবে হাট-বাজারে ধানের দাম এখন কিছুটা কম। ধান কাটার পর এখন রসুন রোপন করা হচ্ছে। আবাদ হবে রবিশস্যের।
এদিকে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) উপজেলার সোনাহারপাড়া গ্রামে আমন ফসল কর্তন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর পাবনার উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম প্রাং,অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) রাফিউল ইসলাম,জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম,উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুন্তলা ঘোষ,অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা মামুনুর রশিদসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।