নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৬নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার পুরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির সভাপতি আনিচুর রহমান এবং পুরুলিয়া ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক চাঁচুড়ী-পুরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ খুরশিদ আলমের বাড়ির পাশে অস্ত্র ও ককটেল রেখে ষড়যন্ত্রমূলক ফাঁসানোর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এলাকাবাসীর আয়োজনে বুধবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে পুরুলিয়া বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য দেন-জনি বেগম, মুন্সেফ শেখ, ভুক্তভোগী আনিচুর রহমান ও খুরশিদ আলমসহ অনেকে।
এ সময় চাঁচুড়ী-পুরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান সবুজ, ব্যবসায়ী গোলাম মোস্তফা নিপু, গৃহবধূ নার্গিস বেগমসহ শত শত নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করেন।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য আনিচুর রহমান বলেন, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি কোবাদ হোসেন, কামরুল ইসলামসহ তাদের লোকজন আমাকে ফাঁসাতে ও হেয়প্রতিপন্ন করতে আমাদের বসত ঘরের পশ্চিম পাশে শুকনো পাতার মধ্যে পিস্তল এবং আটটি ককটেল রেখে সোমবার (২৪ নভেম্বর) গভীর রাতে আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীকে অবগত করে। আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী এসে আমাদের বাড়ির পশ্চিম পাশে তল্লাশি করে শুকনো পাতার মধ্য থেকে পিস্তল ও ককটেল উদ্ধার করে। প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্রমূলক আমাকে ফাঁসানোর অপচেষ্টা করছে, বিষয়টি আইন-শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বুঝতে পারেন। এর ছয় মাস আগেও আমার বাড়ির একই স্থানে প্রতিপক্ষরা অস্ত্র ও গুলি রাখার কারণে আমি চার মাস ১১দিন কারাগারে থেকে জামিনে মুক্তি পাই।
এদিকে, ওই রাতে (সোমবার) চাঁচুড়ী-পুরুলিয়া বাজার বণিক সমিতির কোষাধ্যক্ষ খুরশিদ আলমের বাড়ির দক্ষিণ পাশে পতিত গোয়াল ঘরে বালতির মধ্যে চারটি ককটেল রেখে তাকে (খুরশিদ) ফাঁসানোর চেষ্টা চালায় প্রতিপক্ষরা।
খুরশিদ আলম বলেন, প্র্রতিপক্ষের কামরুল সরদার, কোবাদ মোল্যা, কালু গাজী ও ইমরান সরদারের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করায় আমার বাড়ির পাশে ককলেট রেখে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে তারা। আমরা বারবার ষড়যন্ত্রের শিকার হচ্ছি।
বক্তারা আরও বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আনিচুর রহমান ও খুরশিদ আলমের বাড়িতে ষড়যন্ত্রমূলক অস্ত্র এবং ককটেল রেখে তাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। এ ঘটনায় আমরা প্রতিপক্ষের বিচার দাবি করছি। তবে প্রতিপক্ষের কোবাদ হোসেন, কামরুল ইসলামসহ অন্যরা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। তাদের দাবি, তারা এ ধরণের কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িত নেই।
কালিয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সোমবার গভীর রাতে পুরুলিয়া গ্রামের দু’টি স্থান থেকে দেশি তৈরি একটি পিস্তল এবং ১১টি ককটেল পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।