সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার উজ্জীবনী ইনস্টিটিউট মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও পাশের বাংলালিংক টাওয়ারে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। চুরির সময় টাওয়ার-কর্মীরা ধাওয়া দিলে চোরেরা গুলি ছোড়ে। এতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হন। স্থানীয়রা ঘটনার পর মোসলেম আলী নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ দুজন হলেন বাংলালিংক টাওয়ারের টেকনিশিয়ান রিগ্যান হোসেন (৩৫) ও আকরাম হোসেন (৪৫)। আকরামকে স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়া হলেও রিগ্যানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আটক মোসলেম আলী (৩৮) উপজেলার উজয়মারী গ্রামের কাসেম আলী গাজীর ছেলে। তাঁর বিরুদ্ধে চুরি ও ডাকাতিসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তাহেরসহ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গভীর রাতে চোরেরা প্রাচীর টপকে প্রথমে বিদ্যালয়ের ভেতরে প্রবেশ করে। এরপর গ্রিল বেয়ে দ্বিতীয় তলায় ওঠে। তারা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের তালা ভেঙে ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। পরে কম্পিউটার রুমে ঢ়ুকে কম্পিউটার, হার্ডডিস্ক ও ল্যাপটপ চুরি করে। এরপর শিক্ষকদের রুমের তালা ভেঙে আলমারি ও ড্রয়ার তছনছ করে কাগজপত্র ছড়িয়ে রেখে যায়।
সেখান থেকে বের হয়ে চোরেরা পাশের বাংলালিংক টাওয়ারে ঢ়ুকে তিনটি বড় ব্যাটারি চুরি করে। ব্যাটারি ভ্যানে তুলে পালানোর সময় টাওয়ার কর্মী আকরাম হোসেন বিষয়টি টের পেয়ে ধাওয়া করেন। একই সময়ে বাংলালিংকের গাড়ি নিয়ে পিছন থেকে ধাওয়া করেন টেকনিশিয়ান রিগ্যান হোসেন। রিগ্যান দৌড়ে গিয়ে একজনকে ধরে ফেললে চোরেরা গুলি ছুড়ে। এতে রিগ্যান ও আকরাম উভয়েই গুলিবিদ্ধ হন। এ সুযোগে চোরেরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা পরে ভ্যানচালক মোসলেম আলীকে তিনটি ব্যাটারিসহ আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী ইয়াসিন আলী বলেন, ‘‘ভোরে আজানের সময় ঘুম থেকে উঠে দেখি গেটে তালা দেওয়া। কিন্তু প্রধান শিক্ষক ও কম্পিউটার রুমের দরজা খোলা। দ্বিতীয় তলায় গিয়ে দেখি শিক্ষকদের রুমের তালা ভাঙা। পরে প্রধান শিক্ষককে খবর দিই।’’
কালিগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘‘মোসলেম আলীকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’