নীলফামারীর সৈয়দপুরে গড়ে তোলা হয় দেশের সবচেয়ে বৃহৎ রেলওয়ে কারখানা। আর এ কারখানাকে ঘিরে সৈয়দপুর শহরের প্রায় ৯০ ভাগ জায়গা রেলওয়ের। সৈয়দপুর পৌরসভার নিজস্ব তেমন একটা জায়গা না থাকায় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে শর্তানুযায়ি ২৫ একর জায়গা বরাদ্দ নেয়। কিন্তু কি শর্তে পৌরসভা রেলওয়ের কাছ থেকে জায়গা নিল তা অনেকের অজানা। এরই মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভা এবং রেলের মধ্যে জায়গা নিয়ে মামলা হয়। ওই মামলা বর্তমানে আদালতে চলমান রয়েছে বলে একটি সুত্র থেকে জানা যায়।
এদিকে সৈয়দপুর শহরের মধ্যে রেলওয়ের জায়গা কৃষি জমি উল্লেখ করে কতিপয় ব্যক্তি বরাদ্দ নিয়ে ওই জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন। আবার কেউ কেউ সরকারি জায়গায় বহুতল ভবন নির্মাণকাজ অব্যাহত রেখেছেন।
ইতিমধ্যে রেলওয়ের রেশন ঘর,কাচারি ঘর, পোস্ট অফিস,বড় ছোট বাংলো,জলাশয়,পানির পাম্প,পানির সৌচাগার, রেলওয়ের ভাটা বেহাত হয়ে গেছে।
রেলওয়ের সরকারি এ সকল জায়গা বেহাত হওয়ার পিছনে রয়েছে কতিপয় কর্মকর্তা,কর্মচারী ও ট্রেড ইউনিয়ন নেতা। এ শহরে কয়েক হাজার কোটি টাকার রেলওয়ের সরকারি সম্পত্তি ভুমিদশ্যুেদর হাতে চলে গেছে। অথচ যারা ভুমিহীন,মাথা গুজার ঠাৃই যাদের নেই তারা যদি রেলওয়ের জায়গায় একটু ঝুপড়ি ঘর বা চালা তুলে তখন সেটি ভেঙ্গে দেয় কর্তৃপক্ষ। আর যারা বিশালাকৃতির বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন তাদের বেলায় টু শব্দ নেই কর্তৃপক্ষের।
এরই মধ্যে নীলফামারী আদালতে মামলা করা হয় দুদুকের পক্ষ থেকে। এতে বিবাদী করা হয়েছে সৈয়দপুর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন,সাবেক কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু, পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলি আইয়ুব আলীকে। অপরপাশে দুদক আরো দুটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে আফসানা পারভীন ও ঠিকাদার জয়নাল আবেদীনের নামে।
দুদকের করা এ মামলা নিয়ে সৈয়দপুরে সচেতন মহলে ঝড় উঠেছে। কারণ রেলওয়ের জায়গায় আরো অনেক ভবন নির্মাণ করা হয়েছে সৈয়দপুরে। সেদিকে কি দুদকের চোখ রয়েছে নাকি এড়িয়ে গেছে।
এ বিষয়ে সৈয়দপুর রেলওয়ের উর্দ্ধতন উপসহকারি প্রকৌশলি মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান,বহুতল ভবনগুলো অনেক আগে করা হয়েছে। তবে বর্তমানেও কেউ কেউ কাজ চলমান রেখেছেন। আমরা কর্তৃপক্ষ কাজে বাঁধা প্রদান করেছি কিন্তু তারা অনেকটা গায়ের জোরে সরকারি জায়গায় নির্মাণ কাজ করছেন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অন্যান্যদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।