নীলফামারীর সৈয়দপুর হল প্রথম শ্রেণির একটি পৌরসভা। নীলফামারী জেলার চারটি পৌরসভার মধ্যে সৈয়দপুর পৌরসভা সর্বপ্রথম প্রথম শ্রেণির মর্যাদা লাভ করে। এটি ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আয়তন ৩৪ দশমিক ৩৪ বর্গকিলোমিটার। প্রথমে এটি তৃতীয় শ্রেণির পৌরসভা থাকলেও পর্রবর্তীতে এটি প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়। বতর্মানে ১৫টি ওয়ার্ড নিয়ে এ পৌরসভা গঠিত। মহল্লার সংখ্যা ৪৩টি। লোকসংখ্যা প্রায় ৪ লাখ। সড়ক ১১০ কিলোমিটার। এ পৌরসভায় বেশ কয়েকবার মেয়রের দায়িত্বে ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মরহুম আমজাদ হোসেন সরকার। তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে পৌরসভা পরিচালনা করেছেন। মুলত তিনিই পৌরসভাকে ঢেলে সাজান। এ পৌরসভার নিজস্ব সম্পদ তেমন একটা নেই। তবুও বিভিন্ন আয় থেকে তিল তিল করে করা হয় উন্নয়নমুলক কাজ। দেয়া হয় নাগরিক সেবা। পৌরসভার কর্মকর্তা কমর্চারিরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবুও কতিপয় নিন্দুকেরা বদনাম করে চলছে। এমন কথা জানালেন পৌরসভার কর্মকর্তা কমর্চারি এসোসিয়েশনের সভাপতি আবু তাহের ও সাধারণ সম্পাদক সুজন শাহ। পৌরসভার প্রকৌশলী আব্দুল খালেক জানান, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানে পট পরিবর্তনে আওয়ামী লীগের মেয়র সহ কাউন্সিলররা বাতিল হয়ে যায়। পৌরসভার দায়িত্ব পান সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুর- ই - আলম সিদ্দিকী। তিনি দায়িত্বে আসার পর আরো নিয়মতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে পৌরসভা। নাগরিক সেবা পেয়েছে বৃদ্ধি। শহরের সড়কগুলো থাকছে অত্যন্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন। পৌর কর্মকর্তা কমর্চারিদের তদারকির কারণে নাগরিক সেবা বাড়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো করা হচ্ছে সংস্কার। স্টিট লাইট জ্বলছে। ফলে রাতের বেলাও যেন দিন মনে হয় এ শহর। পৌরসভার প্রধান হিসাব রক্ষক আবু তাহের বলেন,আমাদের যে সকল আয়ের খাত রয়েছে তা পুঙ্খানু পুঙ্খানুভাবে নজরে রাখছেন প্রশাসক মহোদয়। প্রতিদিন বিভিন্ন খাত থেকে যে আয় হয় তা পুর্বের ন্যায় ব্যাংকে জমা করা হয়। এখানে কোন অনিয়মের সুযোগ নেই। পৌর কর্মকর্তা কমর্চারি এসোসিয়েশন সৈয়দপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক সুজন শাহ বলেন, পৌরসভায় কোন সিন্ডিকেট নেই। নাগরিকদের সেবা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নাগরিকরা যখন যে সেবা নিতে আসেন আমরা সেটি যত দ্রুত সম্ভব করে দিয়ে থাকি। তাদের কাছ থেকে কোন ধরনের উৎকোচ গ্রহণ করা হয় না। পৌরসভা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বরাদ্দকৃত ২৫.৭৫ একর জমি বরাদ্দ নেয় । তার মধ্যে থেকে পৌরসভা কাজ করছে। নাগরিক সেবা নিয়ে কথা হয় পৌর প্রশাসক ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নুর- ই আলম সিদ্দিকীর সাথে। তিনি বলেন, আগের তুলনায় সেবার মান বেড়েছে। পৌরসভায় এখন সব কিছু চলছে একটা সুন্দর নিয়মে। তারপরেও যদি নাগরিকদের কোন অভিযোগ থাকে তা আমাকে জানালে সমাধানের চেষ্ঠা করা হবে।