গুরুতর অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির শীর্ষ নেতারা। তার আগে দেখা করতে যান হেফাজতে ইসলামের নেতারা। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে সিসিইউতে থাকা খালেদা জিয়ার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে রাজনৈতিক অঙ্গনে।
শনিবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে হাসপাতালে পৌঁছান এনসিপির মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা এবং মুখ্য সংগঠক দক্ষিণাঞ্চল হাসনাত আবদুল্লাহ। তার প্রায় দেড় ঘণ্টা আগে সকাল পৌনে নয়টার দিকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবিবসহ কয়েকজন নেতাকে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
খালেদা জিয়া গত রোববার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসকেরা জানান, তার ফুসফুসে সংক্রমণ ছড়িয়ে নিউমোনিয়া দেখা দিয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে হৃদরোগ, কিডনি জটিলতা, লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস এবং ডায়াবেটিসের দীর্ঘদিনের সমস্যা। একটি রোগের চিকিৎসা দিতে গেলে আরেকটি জটিল হয়ে ওঠায় চিকিৎসা আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত সংকটময়। দলের নেতারা জানান, দুই দিন ধরে তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। চিকিৎসকেরা উন্নত সিঙ্গাপুর চিকিৎসার বিষয়টি বিবেচনায় রাখছেন।
শনিবার হাসপাতালে সাক্ষাৎ শেষে ডা. তাসনিম জারা বলেন, খালেদা জিয়ার অবস্থা ক্রিটিক্যাল, তবে তিনি সজ্ঞান আছেন এবং চিকিৎসক ও নার্সদের নির্দেশনা অনুসরণ করতে পারছেন। তিনি সবার কাছে দোয়া চান।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, খালেদা জিয়া সব সময় গণতন্ত্রের জন্য লড়েছেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অতীতে তার চিকিৎসা জটিল হয়েছে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সুস্থতা দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণে গুরুত্বপূর্ণ।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, দোয়া চাওয়া ছাড়া আমাদের করার কিছু নেই। দেশবাসীসহ সবার কাছে খালেদা জিয়ার জন্য দোয়া চাই।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসও। তিনি তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। বিএনপির পক্ষ থেকেও শুক্রবার সারা দেশে মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।