বাম ৯ দলের ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ২৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম | প্রকাশ: ২৯ নভেম্বর, ২০২৫, ০২:৫৫ পিএম
বাম ৯ দলের ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’

বাম ও প্রগতিশীল ৯টি দল একত্রিত হয়ে ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ নামে নতুন জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে। এই জোট আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়াও দেশের বিভিন্ন গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে সক্রিয় থাকবে।

শনিবার সকাল থেকে রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় কনভেনশন শুরু হয়। কনভেনশন আয়োজন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট ও বাংলাদেশ জাসদ। নতুন জোটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের ছয় দল রয়েছে, যেমন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টি, বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন ও বাসদ (মার্কসবাদী)। এছাড়া বাংলাদেশ জাসদ ও ঐক্য ন্যাপ, এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী বাম মোর্চার কিছু দলও যুক্ত হচ্ছে।

কনভেনশনের খসড়া ঘোষণাপত্র পাঠ করেন সিপিবির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ কাফী রতন। এতে বলা হয়, দেশের জনগণ উপলব্ধি করছে, শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য প্রগতিমুখীন গণতান্ত্রিক সরকার প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, ‘গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্ট’ গঠনের মাধ্যমে জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক শক্তি গড়ে তোলা হবে। খসড়া ঘোষণাপত্র অনুমোদনের পর সারা দেশে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার মাধ্যমে তা চূড়ান্ত করা হবে।

কনভেনশনে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ। তিনি বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের পরে দেশের শাসন ব্যবস্থা দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। জনগণের নিজস্ব রাজনৈতিক উত্থান এখন সময়ের দাবি।”

বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া বলেন, “আজ থেকে বাম দলগুলোর কর্মীদের পরিচয় হবে একটাই, আমরা সবাই গণতান্ত্রিক যুক্তফ্রন্টের মানুষ। শিল্পী, কৃষক, শ্রমিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার মানুষদের একতাবদ্ধ হতে হবে।” তিনি আরও অভিযোগ করেন, মব ভায়োলেন্সের পেছনে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের অংশ রয়েছে, যা একদিন প্রমাণ করতে হবে।

সিপিবি’র সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটলেও এর আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হয়নি। দেশ এখনও সংকট, নৈরাজ্য ও দুর্নীতির মধ্যে রয়েছে। এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে বাম প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তি একত্রিত হয়ে সরকার গঠন করতে হবে।”

কনভেনশনে দেশের বিভিন্ন প্রগতিশীল সংগঠন, জাতিসত্তা, নারী, শ্রমিক ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন সমূহের নেতারা সংহতি বক্তব্য রাখেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে