বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে চতুর্থ বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে বললেন, “বিগত ১৫ বছরে যারা লুটপাটে জড়িত ছিলেন, তাদের শাস্তি দিতে হবে। কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বেকারত্ব তৈরি করা কোনো সমাধান নয়।”
মির্জা ফখরুল বলেন, “বিএনপি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে সবসময় দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে ভূমিকা রেখেছে। উন্মুক্ত অর্থনীতির সূচনা করেছেন জিয়াউর রহমান। ক্ষমতায় এসে বিএনপি প্রতিবারই অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে কাজ করেছে। ব্যবসায়ীদের ব্যাপারে চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করা দরকার। তাদের বিশ্বাস করতে হবে। লুটপাটে যারা জড়িত তাদের শাস্তি দেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে কেন বেকারত্ব তৈরি করছি? এগুলো ভাবতে হবে।”
‘শুধু অর্থনৈতিক পথরেখা নয়, রাজনৈতিক পথরেখাও তৈরি করতে হবে। সংস্কারের যেসব বিষয়ে বিএনপি সই করেছে, তার বহু আগেই দলটি এসব প্রস্তাব উত্থাপন করেছিল’-উল্লেখ করেন তিনি।
‘বিএনপি শুধু ‘নতুন বাংলাদেশ’ নয়, বরং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে চায়। যেখানে গণতন্ত্র ও অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। বিএনপি যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে, তখন কেউ বলতে পারেনি-দলটি অর্থনীতি ধ্বংস করেছে। বরং তারা অর্থনীতিকে সচল করেছে। যারা ১৫ বছর ধরে লুট করেছে, চুরি করেছে, ব্যাংক ডাকাতি করেছে, তাদের ধরা উচিত এবং শাস্তি দেওয়া উচিত’-যোগ করেন বিএনপির এ নেতা।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, লুটপাটকারীদের শিল্পকারখানা বন্ধ করে দেওয়ায় প্রায় ১৪ লাখ মানুষ বেকার হয়ে গেছে। এই বেকারত্ব সৃষ্টি না করে কীভাবে কারখানা ও প্রতিষ্ঠানগুলো চালু করা যায় এবং মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যায়, সে বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া দরকার।
বিএনপি অর্থনীতি ধ্বংস করেছে-এ কথা কেউ বলতে পারেনি বলেও দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।