ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের জ্বালানী সেক্টরের মাফিয়া সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্য কেজিডিসিএল এর সহকারী প্রকৌশলী প্রকৌ. সৈয়দ মোর্শেদ উল্লাহ্ কর্তৃক অর্থ আত্বসাতের ঘটনাকে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্ঠা এবং মহাব্যবস্থাপক প্রশাসন জনাব কবির উদ্দিন ও উপ- মহাব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন মাসুদ এর যোগসাজসে ৫০ লাখ টাকা নিয়ে পদোন্নতি দিতে প্রস্তুত কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ ।সৈয়দ মোর্শেদ উল্লাহ্ বর্তমানে পটিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (২০১৪ সাল হতে এই পদে আছেন) ও বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর লীগের চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সহ-সভাপতি। চাকরী বিধি লঙ্ঘন করে একাধারে আওয়ামীলীগের নেতা হওয়ার পাশাপাশি কেজিডিসিএল এর কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন যা চাকুরী বিধির সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এক সময় টাকার অভাবে নানা বাড়ীতে থেকে পড়াশোনা করা এবং পরবর্তীতে ধারদেনা করে বিদেশে পাড়ি দেওয়া মোর্শেদ আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশে ফিরে আসে। দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন চৌধুরী ও ক্যাসিনো মাফিয়া খ্যাত আওয়ামীলীগের এমপি বিচ্ছু সামছুর চাপে তৎকালীন কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ চাকুরীর আবেদনের বয়স ৩০(৩০ বছর ৯ দিন) বছরের বেশি হওয়ার পরেও সৈয়দ মোর্শেদ উল্লাহ্কে চাকুরী দিতে বাধ্য হয়। এই বিষয়ে বারবার তদন্ত করতে বলা হলেও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রভাবে তদন্ত আর আলোর মূখ দেখেনি। সে সব সময় দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দূিণীতি করা যায় সেসব জায়গায় দায়িত্ব বাগিয়ে নিত। বিক্রয় শাখার পাশাপাশি সে বড় বড় প্রকল্পের দায়িত্ব নিয়ে সে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছে। বিস্বস্তসূত্রে জানা যায়, উড ট্রিটিং প্ল্যান্ট (বিএফআইডিসি) , ঠিকানা- বিএফআইডিসি রোড, কালুরঘাট, চট্টগ্রাম, গ্রাহক সংকেত নং- শিল্প-৯১৪(বি), ২০০২আইএন-১০০২২৩ এর এপ্রিল-২০১৯ হতে অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত ৩১ মাসের গ্যাস বিলবাবদ প্রায় ৭৫,০০,০০০/= (পচাত্তর লক্ষ টাকা) কেজিডিসিএল এর মাফিয়া সদস্য সৈয়দ মোর্শেদ উল্লাহ্ বিএফআইডসির র্মকর্তাদের যোগসাজশে মিটার টেম্পারিং এর মাধ্যমে ০ (জিরো) রিডিং দেখিয়ে উক্ত অর্থ আত্বসাৎ করে। আলোচ্য ঘটনাটি কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষের নজরে আসলে কেজিডিসিএল পেট্রোবংলাকে অবহিত না করে সৈয়দ মোর্শেদ উল্লাহ্কে বাঁচানোর জন্য এই ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারন না করে আত্বসাৎকৃত অর্থ কিভাবে গ্রাহক হতে উদ্ধার করা যায় সেই চেষ্টায় মত্ত। ওকে এই অভিযোগ হতে বাঁচাতে কেজিডিসিএল কর্তৃপক্ষ মোরশেদ এর আস্তাভাজন কর্মকর্তা দিয়ে একটি কমিটি করে। কোম্পানির কোনো কর্মকর্তার পক্ষে মোরশেদ অভিযুক্ত হলেও ওর বিরুদ্ধে যায় এইরকম প্রতিবেদন দেয়ার সাহস কারো নাই। কিছুদিন আগে তাকে ফৌজদারহাটে বদলি করা হলেও সে যোগদান না করে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষকে ঐ আদেশ পরিবর্তন করতে বাধ্য করে। এখানে প্রতীয়মান হয় এই মাফিয়ার কাছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ কতটা অসহায়। এই সেই মোরশেদ উল্লাহ যিনি জ্বালানি সেক্টরের আরেক মাফিয়া আইয়ুব খানের নেতৃত্বে তৎকালীন দুদক কর্মকর্তা শরিফকে বাসায় গিয়ে জীবননাশের এবং কিভাবে চাকরি করে তা দেখে নিবে বলে হুমকি দিয়ে আসে। মূলত এরপরই দুদক কর্মকর্তা শরিফের দুর্বিসহ জীবনের শুরু হয়। আওয়ামী আমলেও ওর বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আসলে দলীয় পদে থাকার কারণে কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নিতে পারতোনা। দলীয় পদ ব্যবহার করে শিল্প/বাণিজ্যিক গ্রাহকদের কাছ হতে সুবিধা দেয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিত। মাসওয়ারি টাকা না দিলে সে সকল স্তরের গ্রাহকদের হয়রানি করত। মোরশেদ উল্লাহর ভয়ে কর্ণফুলী গ্যাসের সকল স্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। যা তদন্ত করলে বের হয়ে আসবে।অপর দিকে মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ, সহকারী ব্যবস্থাপক, ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট দিয়ে কর্ণফুলীতে নিয়োগ পান। পরে মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় তৎকালীন কেজিডিসিএল পরিচালনা পর্ষদ তাকে চাকরি হতে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু আওয়ামী সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী হাসান মাহমুদের আস্তাভাজন হাওয়ায় তৎকালীন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি। ফারুক আহমেদ, রাঙ্গুনিয়া যুবলীগের প্রভাবশালী নেতা। বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উপর তার প্রভাব এখনো বিস্তৃত। তার প্রভাবের কারণে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাকে পদোন্নতি দিতে বাধ্য হচ্ছে। চাকরিতে যোগদানের সময় তার বয়স ছিল ৩১ বছর। সব শেষে এরকম দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের পদোন্নতি হয় তাহলে সংস্কারটা কোথায়?