সারাদেশের মতো গাজীপুরের কালীগঞ্জে সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টদের পূর্বঘোষিত দুই ঘণ্টার শান্তিপূর্ণ কর্মবিরতি পালন হয়েছে। এতে দূর-দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে চরম ভোগান্তিতে পড়েন। সেবা নিতে আসা স্থানীয়দের দাবি, সরকারের উচিত দ্রুত দাবি মেনে নেওয়া। এ কর্মসূচিতে উপজেলা ও উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা অংশ নেয়। কর্মবিরতির কারণে প্যাথলজি, রেডিওলজি, ডেন্টাল, ফার্মেসী ও ফিজিওথেরাপি সেবা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। লম্বা সারিতে রোগীরা এসব সেবা নেয়ার জন্য অপেক্ষমাণ ছিল। কর্মসূচির কারণে কিছু ল্যাবরেটরি ও ডায়াগনস্টিক সেবায় সাময়িক বিঘ্ন ঘটলেও জরুরি সেবা পূর্বের মতোই সচল ছিল। জানা যায়, উপজেলা ও উপ-স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্টরা গত এক বছর যাবৎ আবেদন, স্মারকলিপি, বৈঠক, যুক্তি-তথ্য-পরিসংখ্যানসহ সব আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেও ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবি উপেক্ষিত হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর দীর্ঘদিনের অবহেলা ও বৈষম্য তাদের বাধ্য করেছে কর্মবিরতির মতো কঠোর কর্মসূচি পালন করতে। প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব ইনচার্জ অর্জুন চন্দ্র দাস জানান, আমরা কখনোই সেবা বন্ধ রাখতে চাইনি। আমাদের প্রতি অবহেলা ও উদাসীনতার সীমা অতিক্রম করায় আমরা বাধ্য হয়েছি। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের জন্য শেষ আল্টিমেটাম হিসেবে উল্লেখ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সিদ্ধান্ত না এলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবেন বলে হুশিয়ারি দেন। দুই ঘণ্টার কর্মবিরতি শেষে বেলা ১১টার পর স্বাস্থ্যসেবার নিয়মিত কার্যক্রম পুনরায় শুরু করেন। আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধান না এলে বৃহত্তর কর্মসূচি আর ঠেকানো যাবে না বলেও জানান আন্দোলনকারীরা। এ সময় অন্যান্যের মাঝে ফার্মাসিস্ট মো. আসাদুজ্জামান খান, মো. গোলাম সরোয়ার, প্যাথলজি বিভাগের ল্যাব ইনচার্জ অর্জুন চন্দ্র দাস, সামিরাজ খাতুন, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট মো. হাফিজুর রহমান, মো. মাহবুব আলম খান, ডালিয়া আক্তারসহ বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার প্রতিনিধি, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ও ফার্মাসিস্ট ১০ম গ্রেড বাস্তবায়ন পরিষদ কালীগঞ্জ উপজেলার সমন্বয়ক, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট ল্যাব ও ফার্মাসিটি প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।