স্বতন্ত্র নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরকে অন্য কোনো অধিদপ্তরের সঙ্গে একীভূত করার উদ্যোগকে “অপচেষ্টা”আখ্যা দিয়ে তা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ মিটওয়াইফারি সোসাইটি। সংগঠনটির নেতারা জানান-দাবি আদায় না হলে শিগগিরই কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টার প্রতীকি শাটডাউন কর্মসূচি পালনকালে বক্তব্য রাখেন, বিএমএ এর রংপুর জেলা শাখার সভাপতি নাজমা নাহার,সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম শামিম, সিনিয়র স্টাফ নার্স আজমিরা, জান্নাতুল ফেরদৌস, সিনিয়র স্টাফ নার্স নার্সিং কলেজের শিক্ষক আইয়ুব আলি, স্টুডেন্ট নার্স ও মিডওয়াইফ গণ।
এসময় বক্তারা জানায়, স্বতন্ত্র অধিদপ্তর রক্ষা ও জাতীয় নার্সিং কমিশন গঠনের পাশাপাশি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তর প্রণীত নিয়োগবিধি, অর্গানোগ্রাম, স্ট্যান্ডার্ড সেট-আপ ও ক্যারিয়ার প্ল্যানের দ্রুত অনুমোদন অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে নার্সদের জন্য উচ্চতর পদে ভূতাপেক্ষ সুপারনিউমেরারী পদোন্নতি এবং নার্সিং সুপারভাইজার ও নার্সিং ইন্সট্রাক্টর পদকে ৯ম গ্রেডে উন্নীত করার দাবি তুলে ধরা হয়।
ডিপ্লোমা নার্স ও মিডওয়াইফদের সনদকে স্নাতক (পাস) সমমান দেওয়ার পাশাপাশি গ্রাজুয়েট নার্স-মিডওয়াইফদের জন্য প্রফেশনাল বিসিএস চালুর দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা ও নার্সিং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালা, মানসম্মত বেতন কাঠামো প্রণয়ন এবং ভুয়া বা অপ্রশিক্ষিত নার্স-মিডওয়াইফদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টিও তাদের দাবি তালিকায় রয়েছে।
এ ছাড়া নার্স-মিডওয়াইফদের ঝুঁকিভাতা প্রদান এবং জোরপূর্বক চাপিয়ে দেওয়া বর্তমান নার্সিং ইউনিফর্ম পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে সংগঠনটি। একই সঙ্গে শয্যা, রোগী ও চিকিৎসকের অনুপাতে পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স-মিডওয়াইফের পদ সৃষ্টি ও দ্রুত নিয়োগের দাবি জানায়।
নেতারা বলেন, স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়ন, পেশাগত মর্যাদা রক্ষা এবং নার্সদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার স্বার্থে এসব দাবি বাস্তবায়ন অপরিহার্য। দাবি পূরণে অনীহা দেখা দিলে বড় ধরনের কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তারা।