বগুড়ার শেরপুরউপজেলায় জাল টাকা লেনদেনের অভিযোগে তিন সদস্যের একটি চক্রকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১২। শনিবার উপজেলার মির্জাপুর পশ্চিম খলিফাপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে এক হাজার টাকার ১৫৭টি জাল নোট উদ্ধার করা হয়। মামলার প্রেক্ষিতে রবিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার নায়েব আলী (৪২) ও এনামুল হক (২৯) এবং রাজশাহীর তানোর উপজেলার রফিকুল ইসলাম (৪২)।
র্যাব জানায়, মির্জাপুর পশ্চিম খলিফাপাড়ার যুবক ফারুক হোসেন তাঁর ফেসবুক আইডিতে কিছু পাথরের ছবি পোস্ট করে বিক্রির বিজ্ঞাপন দেন। ওই পোস্ট দেখে জাল টাকার একটি চক্র পাথর কেনার কথা বলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং এলাকায় এসে অবস্থান নেয়। বিষয়টি সন্দেহজনক হওয়ায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব বিষয়টি জানতে পারে।
পরবর্তীতে র্যাব-১২ শেরপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় ওই এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের সময় ফারুক হোসেনের বাড়ির দুটি কক্ষ ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালানো হয় এবং সেখান থেকেই তিনজনকে আটক করা হয়।
র্যাব-১২-এর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার মোহাম্মদ শফি কামাল জানান, তল্লাশিকালে নায়েব আলীর পকেট থেকে ১০০টি, রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে ৩০টি এবং এনামুল হকের পকেট থেকে ২৭টি এক হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া তাঁদের কাছ থেকে তিনটি ছোট পাথর, কিছু নগদ টাকা ও চারটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন এলাকায় জাল টাকা সরবরাহ করে আসছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করে জাল টাকা ছাড়ানোর চেষ্টা করতেন বলেও র্যাবের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
ঘটনাস্থলেই জব্দ তালিকা প্রস্তুত শেষে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করে শেরপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।
শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। জাল টাকার চক্রটির অন্য সদস্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত চলমান রয়েছে।”