চুরি ছিনতাইকৃত চোরাই মালের ভাগ বন্টন ও মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মইন উদ্দিন অন্তর (১৮) কে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য লাকসাম গন্ডামার জবাইখানা সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে লাশ ফেলে দেয়। গত (২৫ নভেম্বর) কুমিল্লার লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এলাকার জবাইখানা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ। এর ঘটনার পর র্যাব -১১ এর সিপিসি-২ এর দল ৯জনকে গ্রেফতার করেছে। এ তথ্যটি (১ডিসেম্বর) সোমবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম নিশ্চিত করেছেন।
র্যাব জানায়- গত ২৫ নভেম্বর ২০২৫ ইং তারিখ কুমিল্লা জেলার লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এলাকার জবাইখানা সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের পাশ থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে লাকসাম রেলওয়ে পুলিশ। ঘটনার দিন সকাল আনুমানিক ৭ টায় স্থানীয় লোকজন পুলিশকে ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল উপস্থিত হয়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত যুবকের মুখ ও মাথার বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে মর্মে জানা যায়। পরবর্তীতে পুলিশ যুবকের মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতন্তের জন্য পাঠানো হয়। নিহত মইন উদ্দিন অন্তর (১৮) কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের নুরুন্নবীর ছেলে। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকা হতে হত্যাকান্ডের জড়িত সন্দেহে ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলো লাকসাম উপজেলার গন্ডামারা এলাকার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন @ ক্যামেল (৩২), মোঃ ইসমাইল খান (২৫), মিলন হোসেন @ ছোট মিলন (১৫), মোঃ হাসান @ এমআই হাসান (২২) সহ মোট ০৯ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এসময় আসামীগণের হেফাজত হতে ০৬ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-১১, সিপিসি-২ এর কোম্পানী কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম জানান- নিহত মইন উদ্দিন অন্তর (১৮) লাকসাম থানাধীন গন্ডামারা এতিমখানা নামক স্থানে ভাঙ্গারির দোকানে কাজ করতো। একই সাথে সে স্থানীয় খারাপ প্রকৃতির ছেলেদের সাথে চলাফেরা করত এবং চুরি ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার মতো অপরাধমূলক কার্যক্রমের সাথে জড়িত ছিল। গ্রেফতারকৃত আসামীগণ সকলেই চুরি, ছিনতাই ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যক্রম করার তাদের নেশা ও পেশা। ভিকটিমের সাথে আসামীদের চুরি ছিনতাইকৃত চোরাই মালের ভাগ বন্টন ও মাদক সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। উক্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন ভিকটিম ও আসামীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে গ্রেফতারকৃত আসামীগন ভিকটিমকে হত্যা করে লাশ গুম করার জন্য লাকসাম গন্ডামার জবাইখানা সংলগ্ন রেল লাইনের পাশে লাশ ফেলে দেয়। গ্রেফতারকৃত আসামীগণের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলার লাকসাম রেলওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।