রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্য জরুরি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:৩৪ পিএম
রপ্তানি বাড়াতে পণ্যের বৈচিত্র্য জরুরি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক জোরদার করতে হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

বাংলাদেশের রপ্তানি খাতকে টেকসই করতে পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানো, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নতুন আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) পূর্বাচলের বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’ উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, এই প্রদর্শনী দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী ও উদ্ভাবকদের জন্য আইডিয়া শেয়ার, অর্থপূর্ণ আলোচনা এবং দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি করবে। তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে চলেছে। “আমরা বর্তমানে যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ও ছাড় ভোগ করছি, তা ধীরে ধীরে হারাবো। এজন্য পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি দ্রুত গ্রহণ জরুরি,” বলেন তিনি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয়ক বিশেষ দূত ড. লুতফে সিদ্দিকী, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমই-এর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা আরও জানান, “বাংলাদেশ সম্পর্কে বহির্বিশ্বে নিরাপত্তা ঝুঁকিসহ নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হচ্ছে, যার প্রভাব রপ্তানিতে পড়েছে। তবে দেশের কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। বিদেশি বায়ারদের ফেরাতে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় কাজ চলছে।” তিনি বলেন, “সব উদ্যোক্তাদের এক ছাদের নিচে আনতে এই আয়োজন দেশের রপ্তানি ও বাণিজ্য খাতকে সমৃদ্ধ করবে।”

এই তিন দিনের এক্সপোতে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শন করা হচ্ছে। খাতগুলো হলো তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি। আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। তিন দিনের এক্সপোতে থাকবে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, বিজনেস-টু-বিজনেস বৈঠক, নেটওয়ার্কিং সেশন এবং ফ্যাশন শো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে