একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে আটককৃত ভুয়া চিকিৎসক ফিরোজ আহম্মেদের (৪৫) বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাতে গৌরনদী পৌর এলাকার সুন্দরদী এলাকার নূর মোহাম্মদ মুন্সী হাসপাতালে অভিযান চালিয়ে ফিরোজ আহম্মেদ নামের ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করে উপজেলা প্রশাসন। অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মো. মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, উপজেলার স্বাস্থ্য সেবার সমস্যাগুলো নিয়ে আমাদের কাছে বেশ কিছুদিন যাবত অভিযোগ আসছে। সেই প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ যৌথভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় সোমবার (১ ডিসেম্বর) রাতে আলহাজ নূর মোহাম্মদ মুন্সী হাসপাতালে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ফিরোজ নামের ওই ভুয়া চিকিৎসককে আটক করা হয়। আটককৃত ফিরোজ ওই হাসপাতালে ডা. আমিরুল ইসলাম নাম দিয়ে প্রাকটিসসহ জটিল সার্জারি করে আসছিলেন। আটককৃত ফিরোজ আহম্মেদ পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার বিষ্ণুকাঠি এলাকার আব্দুল খালেক শেখের ছেলে।
জানা গেছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ফিরোজ আহম্মেদ দীর্ঘদিন ওই হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। গত তিন মাস পূর্বে সে (ফিরোজ) মাসিক এক লাখ টাকা চুক্তিতে পাঁচবছরের জন্য বেসরকারি ওই হাসপাতালটি লিজ নিয়ে পরিচালনার পাশাপাশি নিজেউ জটিল সার্জারি পরিচালনা করতেন। ফলে অনেক মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. তরিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, আটককৃত ফিরোজ আহম্মেদ ও হাসপাতালের পরিচালক ফরিদা বেগমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে ফিরোজ আহম্মেদকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।