পাবনা-২ আসনে আলোচনার শীর্ষ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা হাবিব

এফএনএস (সুজানগর, পাবনা) : | প্রকাশ: ২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫৩ পিএম
পাবনা-২ আসনে আলোচনার শীর্ষ বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা হাবিব

পাবনা-২ সংসদীয় আসন ইতিপূর্বে সুজানগর উপজেলার একটি পৌরসভা ও দশটি ইউনিয়ন এবং বেড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ছিল। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আসন পুনর্বিন্যাস করায় বর্তমানে সুজানগর এবং বেড়া এই দু’টি উপজেলা নিয়ে ৬৯ পাবনা-২আসনটি  গঠিত হয়েছে। আসন্ন ত্রয়োদশ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা না হলেও এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ এবং উঠান বৈঠকসহ নানাভাবে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে তুলছেন। তবে আসন্ন ওই নির্বাচনে কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ বা আওয়ামী লীগ মনোনীত কোন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারায় এ আসনে আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডঃ এ.কে.এম সেলিম রেজা হাবিব। এর বাইরে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর সহকারী অধ্যাপক কে.এম হেসাব উদ্দিন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মাওঃ মোঃ আফজাল হোসেন কাশেমী এবং গণঅধিকার পরিষদ মনোনীত প্রার্থী এডঃ গোলাম সরওয়ার খান জুয়েলসহ আরো ২/১টি দলের প্রার্থী কম-বেশি নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালালেও নির্বাচনী মাঠে তাদের নিয়ে তেমন কোন আলোচনা নেই। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচন গুলোর ফলাফল অনুযায়ী এ আসন থেকে ৬বার আওয়ামী লীগ, ৪বার বিএনপি এবং ১বার জাতীয় পার্টি দলীয় প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ব্যতীত ওই সকল দলের কোন প্রার্থী ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া তো দূরের কথা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাই করেননি। সেকারণে সাধারণ ভোটাররা তাদের খুব একটা চেনেনও না। কিন্তু বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এডঃ এ.কে.এম সেলিম রেজা হাবিব এ আসন থেকে দুইবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং এ দফা দিয়ে ৭বার দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। সেকারণে নির্বাচনী মাঠে তার ব্যাপক পরিচিতি এবং শক্ত অবস্থান রয়েছে। তাছাড়া তিনি সংসদ সদস্য থাকাকালে নির্বাচনী এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করায় দলীয় নেতা-কর্মীদের বাইরেও সাধারণ ভোটারদের মাঝে তার বেশ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির তৃণমূল সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। শুধু তাই নয়, বৃহৎ এই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির রয়েছে ভোট ব্যাংক। বিশেষ করে বেড়া উপজেলায় বিএনপির সংগঠন অত্যন্ত মজবুত। উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা বিএনপি নেতা আব্দুল হাই খান বলেন সেলিম রেজা হাবিব বিএনপির একজন কর্মীবান্ধব নেতা এবং বলিষ্ঠ সংগঠক। ফলে আসন্ন ওই নির্বাচনে তিনি দলীয় প্রার্থী মনোনীত হওয়ায় দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা অত্যন্ত খুশি এবং তারা ঐক্যবদ্ধভাবে সেলিম রেজা হাবিবের পক্ষে কাজ করছেন। উপজেলার শ্যামনগর গ্রামের কলেজ শিক্ষক রাশেদুল ইসলাম বলেন আসন্ন নির্বাচনে বিভিন্ন দলের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী থাকলেও নির্বাচনী এলাকার সর্বস্তরের জনগণের মুখে মুখে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডঃ এ.কে.এম সেলিম রেজা হাবিবের নাম। নির্বাচনী এলাকার কুড়িপাড়া গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান রোকন বলেন আসন পুনর্বিন্যাস হওয়ায় পাবনা-২ নির্বাচনী এলাকা বিএনপির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে। সুতরাং আসন্ন নির্বাচনে এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা হাবিবের সাথে অন্য কোন দলের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবেনা। তবে জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী সহকারী অধ্যাপক কে.এম হেসাব উদ্দিন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনী মাঠে তার শক্ত অবস্থান তৈরী করার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। পাশাপাশি নির্বাচনে তিনি এই প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও রাজনৈতিক দূরদর্শিতা কাজে লাগিয়ে নির্বাচনী মাঠ দখল তথা ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু প্রকৃত পক্ষে এ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের বাইরে অন্য কোন দলের ভোট ব্যাংক বা শক্তিশালী সংগঠন নেই। ফলে এলাকার রাজনৈতিক সচেতন মহল মনে করেন নির্বাচনে যেহেতু আওয়ামী লীগ প্রার্থীর অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই সেহেতু এ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী সেলিম রেজা হাবিব অনেকটা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে