কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসাবে ১১তম গ্রেড বাস্তবায়ন, শতভাগ পদোন্নতি, ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেড প্রদান এই তিন দফা দাবী আদায়ের লক্ষে সারা দেশের ন্যায় প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি চলছে। এদিকে বছরের শেষ শিক্ষার্থীগণ বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে উপরের ক্লাসে উঠার জন্য অধির আগ্রহে পরীক্ষার জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু শিক্ষকদের কর্মবিরতির কারণে তারা পরীক্ষা দিতে পারছে না।
মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদরের ২নং ও ১নং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীগণ বার্ষিক পরীক্ষায় অংশ নিতে স্কুলে গিয়ে পরীক্ষা দিতে না পাড়ায় স্কুল গেটের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। শিক্ষার্থীদের সাথে কতক অভিভাবক বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেন। তারা স্কুলের অচলাবস্থা নিরসন করে দ্রুত পরীক্ষা নেয়ার দাবী জানান। স্কুলের শিক্ষার্থী ওয়ালিদ জানান, সারা বছর স্কুলে এসে পড়া লেখা করে যদি বার্ষিক পরীক্ষা দিতে না পারি সেটা আমাদের জন্য দুঃখ জনক। আমরা পরীক্ষা দিয়ে উপরের ক্লাসে উঠতে চাই। ছাত্র অভিভাবক মোঃ বাদশা জানানা, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবীর সাথে আমরা আকাত্মতা প্রকাশ করি। কিন্তু বার্ষিক পরীক্ষা ব্যাহত করে দাবী আদায়ের আন্দোলন করবেন এটা হতে পারে না। আমরা চাই সুন্দর ভাবে পরীক্ষা নিয়ে শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার সুস্থ পরিবেশ বজায় রেখে আন্দোলন করুন। তাদের দাবী আদায়ে প্রয়োজনে আমরাও আন্দোলনে সহযোগিতা করবো।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকদের সাথে কয়েক দফা মিটিং করেও পরীক্ষা নেয়ার ব্যাপারে কোন অগ্রগতি হয়নি। তারা দাবী আদায়ের জন্য তাদের কর্মসূচিতে অনড় রয়েছে এবং দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থী অভিভাবকদের মাঝেও ক্ষোভের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিস্থিতি আরো অবনতি হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হয়েছে।