বাংলাদেশ বেতার রংপুরের সাবেক আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবু সালেহর বিরুদ্ধে ওঠা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রোববার দুপুরে রংপুর বেতারের আঞ্চলিক কার্যালয়ে দুদকের রংপুর অফিসের পরিচালক হোসেন শরীফের নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২ মে পর্যন্ত রংপুরে কর্মরত থাকা অবস্থায় আবু সালেহর বিরুদ্ধে ভুয়া বিল-ভাউচার, ব্যবহৃত গাড়ি ও জেনারেটর পরিচালনায় অতিরিক্ত জ্বালানি খরচ এবং ভবন মেরামতের নামে বরাদ্দ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে। এসব কার্যক্রমে সরকারি তহবিলের ব্যাপক অপব্যবহারের প্রমাণ মিলেছে। দুদকের উপ-পরিচালক হোসেন শরীফ বলেন, “অভিযুক্ত প্রকৌশলীর মেয়াদকালে রেজিস্টার ও লকবুক রক্ষণাবেক্ষণে বড় ধরনের অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। প্রাথমিক তদন্তে ভুয়া ভাউচারসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মিলেছে। দুদকের পক্ষ থেকে প্রাসঙ্গিক নথিপত্র সংগ্রহ ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।” তিনি আরো বলেন, “একইসঙ্গে ভবন মেরামতের বরাদ্দ ও অন্যান্য ক্ষেত্রে অনিয়মের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত আছেন কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই শেষে কমিশনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” রংপুর বেতারে বতর্মানে কর্মরত আঞ্চলিক প্রকৌশলী ওয়াহেদুজ্জামান বলেন, রোববার অফিসে দুদকের একটি প্রতিনিধি এসেছিলেন। সাবেক আঞ্চলিক প্রকৌশলী মেয়াদকালের দাপ্তরিক কাগজপত্রাদি তারা যাচাই-বাছাই করেছেন। এসময় কিছু ভাইচারে অসঙ্গতির তথ্য পেয়েছেন তারা। এসব বিষয় তারা খতিয়ে দেখছেন।” প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ২ মে পর্যন্ত রংপুরে কর্মরত থাকাকালীন আঞ্চলিক প্রকৌশলী আবু সালেহর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। বতর্মানে তিনি বাংলাদেশ বেতার রাঙ্গামাটিতে কর্মরত আছেন।