গ্রামের মাঠ জুড়ে আমন জমিনে ধান কাটা শেষে ইঁদুরের গর্ত থেকে ধান কুড়িয়ে নেওয়ার এমন দৃশ্য সহসাই চোখে পড়ে না। হয়তো সেই আগেকার মত এমন অনটন দারিদ্র্যতা আর গ্রাস করেনা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী পরিবারগুলোকে। মানুষ এখন নানা কর্মস্থানে কর্মমুখী হয়ে উঠেছে। এখন আর আগের মত এত কর্মহীন নয় মানুষ।
তবে এ বছর সীমান্ত সমতলে বসবাসকারী অনাগ্রাসর পরিবারগুলো চরম দরিদ্র আর দুর্ভোগে জীবন যাপন করছে। তারই দৃশ্যত ফুটে ওঠে অগ্রায়ণের হলুদ মাঠে আমনের ক্ষেত জুড়ে ইঁদুরের গর্ত খোঁড়া ধান উত্তোলনের ছবি ক্যামেরায় ধরা দেয়। বৃহস্পতিবার কলমাকান্দা রংছাতি ইউনিয়নে দিনভর পাহাড়ি এলাকায় বিভিন্ন আমন ফসলের মাঠে ঘুরে ঘুরে এমন কিছু কিছু দৃশ্য দেখা গেছে।
ইঁদুরের গর্ত খুঁড়ে ধান উত্তোলনে ব্যস্ত কয়েজন শিশু ও মহিলা। তাদের পাশে গিয়ে দাড়াই। সেই দৃশ্য অবলোকন করে জিজ্ঞেস করি, তোমরা এই ধানগুলো তুলে কি করবে? এমন প্রশ্নে ছেলারা অট্টহাসি দিয়ে বলে- কি আর করবো দিদি, আমাদের কোন জমিজমা নেই, কোন কাজকর্ম নেই, আগে এই সীমান্তের ছড়ায় বহু ব্যবসা ছিল, মা বাবা কাজকর্ম করে খাওয়াতো, আমরাও বালু থেকে নুড়ি পাথর কয়লা কুঁড়িয়ে বিক্রি করে খেতাম, এখন আর এসব নেই খুব কষ্টে আমাদের মত মানুষেরা দিনযাপন করে যাচ্ছে।
এ বিষয়ে স্থানীয়রাও জানান, এক বছর ধরে সীমান্তের প্রান্তিক ক্ষুদ্রনৃগোষ্ঠি অনাগ্রসর পরিবারগুলো কর্মহীন অবস্থায় জীবন যাপনে দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। কেউ কেউ পাহাড়ি লাকড়ি সংগ্রহ করে কোন রকমে দিনযাপন করছে, কেউ বা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন শহরের মুরগী ফার্ম কামারে কাজের খুজে পেটের দায় চলে গেছে পরিবার পরিজন নিয়ে।