কুষ্টিয়ার গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভরসা অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

এফএনএস (গোলাম কিবরিয়া মাসুম; কুষ্টিয়া): | প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
কুষ্টিয়ার গরিব-মেধাবী শিক্ষার্থীদের ভরসা অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্জনগাছী। চার হাজার ভোটারের একটি বিশাল গ্রাম। চারপাশে সবুজের সমারোহ,ধানের খেত, কাঁদামাটির রাস্তা আর দিন মজুরের ঘামে ভেজা জীবন। এমন এক গ্রাম যেখানে দারিদ্রতা, বাল্য বিয়ে, নিরক্ষরতা ও সামাজিক অনগ্রসরতা সব মিলিয়ে টিকে থাকা যেমন কঠিন, শিক্ষার আলো পাওয়া তার চেয়েও কঠিন। ঠিক এই কঠিন বাস্তবতার ভেতরেই দাঁড়িয়ে আছে গ্রামের একমাত্র মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয়, এটি এই গ্রামের গরিব মানুষের স্বপ্ন, সংগ্রাম আর বাঁচার আশার প্রতীক। আর তাই হয়তো একটা সময় যে স্কুলে ছিল মাত্র ১৫০ জন শিক্ষার্থী, আজ সেখানে ভর্তি আছে ২০১ জন ছেলে-মেয়ে সবাই নিম্নবিত্ত, অনেকেই অতিদরিদ্র পরিবারের সন্তান। ২০০০ সালে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকে প্রতিটি বছর পার হয়েছে সীমাহীন চ্যালেঞ্জ আর ত্যাগের মধ্য দিয়ে। তবুও স্কুলটি টিকে আছে, বেড়ে উঠেছে, বড় হয়েছে। আর যে মানুষগুলো তাদের জীবন দিয়ে এই বিদ্যালয়কে বাঁচিয়ে রেখেছেন, তারা কেউই সেই সময়ে বিন্দুমাত্র পারিশ্রমিক পাননি। প্রতিষ্ঠার পর ২৩ বছর ধরে বিনা বেতনে পাঠদান করেছেন শিক্ষকরা। ০৬ জুলাই ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হওয়ায় তারা অবশেষে সরকারি বেতন পেতে শুরু করেন, কিন্তু এর আগে বহুবছর ধরে তারা গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়ানোর জন্য শুধুই স্বপ্নের আগুন জ্বালিয়ে রেখেছেন। এই বিদ্যালয়কে ঘিরে আছে অনেক গল্প সংগ্রাম, বঞ্চনা, স্বপ্ন, সাফল্য আর অসম্ভবকে সম্ভব করার মানুষদের গল্প। দারিদ্র্যের ভেতরেও জেগে থাকা আলো, অঞ্জনগাছীর অধিকাংশ পরিবার দিন চালায় দিন মজুরি, ভ্যান চালনা, নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করে। বাল্য বিয়ে এই এলাকায় বহু পরিবারের দৈনন্দিন বাস্তবতা। তামাক চাষও কম মজুরির কাজের কারণে পুরুষেরা শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, আর পরিবারের মেয়েরা স্কুলে যাওয়ার আগেই গৃহস্থালির দায়িত্বে বন্দি হয়ে পড়ে। এমন পরিবেশে স্কুলে যাওয়াই যেন এক ধরণের লড়াই। তবুও অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সেই লড়াইটা করে। কেউ পায়ে হেঁটে, কেউ কর্দমাক্ত রাস্তা পেরিয়ে, আবার কেউ ভ্যানের পেছনে ঝুলে এসে স্কুলে পৌঁছে। এদেরই একজন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী মরিয়ম খাতুন, রোল নম্বর-১২। তার বাবা একজন রাজ মিস্ত্রির শ্রমিক। মরিয়মের জীবনে চাহিদা নেই বললেই চলে। কিন্তু স্বপ্ন আছে একদিন সে শিক্ষক হবে, নিজ গ্রামে মেয়েদের পড়াশুনার সুযোগ করে দেবে। আরেক শিক্ষার্থী মিতু খাতুন, নবম শ্রেণি, রোল-০৯। তার বাবা একজন দিন মজুর। প্রতিদিন তিনি নিজের আয়ে অর্ধেক বাড়ির প্রয়োজন মেটান, বাকি অর্ধেক ধার করে চলতে হয়। তবুও মেয়েটির পড়াশোনা বন্ধ হয়নি কারণ তার বাবা জানেন, মেয়েটিকে শিক্ষিত করতে পারলে হয়তো একদিন সে এই দারিদ্র্যের চক্র ভাঙতে পারবে। নবম শ্রেণির আরেক শিক্ষার্থী সাগর, রোল-০২। তার বাবা ভ্যান চালক। পরিবারের পাঁচজন সদস্যের খাবার যোগাড় করতেই হাঁপিয়ে ওঠেন বাবা। কিন্তু সাগরের স্বপ্ন ডাক্তার হওয়ার এটাই তাকে প্রতিদিন স্কুলে আসতে অনুপ্রাণিত করে। দশম শ্রেণির দুই শিক্ষার্থীর জনী এবং সুমাইয়া খাতুন। তাদের বাবারা ভ্যান চালক, আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে ভালো কোনো স্কুলে পড়ানো তাদের পক্ষে অসম্ভব। অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়টিই তাদের একমাত্র ভরসা। পূর্বে এই এলাকায় অনেক শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণির পর পড়াশোনা ছেড়ে দিত। কারণ ছিল নিকটবর্তী কোনো ভালো স্কুলের অনুপস্থিতি এবং শিক্ষার খরচ বহন করার অক্ষমতা। কিন্তু অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর সেই চিত্র বদলে গেছে। এখন গ্রামের মেয়েরা অষ্টম নয়, এসএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করছে, কেউ কেউ জেলায়-উপজেলায় নাম কুড়াতে শুরু করেছে। একটি বিদ্যালয় যে বদলে দিল হিসাব, ২০০০ সালে ১৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করা এই বিদ্যালয়টি আজ গ্রামে শিক্ষার একমাত্র ভরসা। ২০২৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ২৯ জন শিক্ষার্থী। ২০২৬ সালে অংশ নেবে ৩০ জন এমনটাই জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। পরি সংখ্যানের এই বৃদ্ধি কেবল সংখ্যা নয়, এটি অঞ্জনগাছী গ্রামের পরিবর্তনের প্রতীক। যে গ্রামে এক সময় মেয়েরা প্রাইমারি পেরোনোর আগেই বিয়ে হয়ে যেত, সেখানে এখন বছর বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী বাড়ছে। অনেক বাবা-মা সচেতন হচ্ছেন। তারা বুঝছেন যদি সন্তানগুলো পড়াশোনা করে, তাহলে একদিন হয়তো এই দারিদ্র্যের শৃঙ্খল থেকে মুক্তি মিলবে। স্বপ্নকে সত্যি করার মানুষগুলো: অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এই অগ্রযাত্রার পেছনে আছেন একদল নিবেদিত প্রাণ মানুষ যাদের গল্প মানবিকতারই আরেক রকম রূপ। ধর্মীয় শিক্ষক মিজানুর রহমান প্রতিষ্ঠা কালীন শিক্ষকদের মধ্যে একজন। ২৩ বছর বিনা বেতনে শিক্ষা দিয়েছেন। সংসারে যখন খাবার জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হয়েছে, তখনও তিনি স্কুল ছাড়েননি। মিজানুর রহমান বলেন, এই স্কুলটা আমার কাছে শুধু কর্মস্থল নয়, যেন সন্তানের মতো। চিন্তা করলে আজও চোখ ভিজে যায় কিভাবে এতগুলো বছর টিকেছিলাম। কিন্তু ছাত্ররা যখন ভালো ফল করে, ভালো জায়গায় ভর্তি হয়, তখন মনে হয় সব কষ্ট সার্থক। ইংরেজি শিক্ষক রুবিনা আফরোজ। বিদ্যালয়ের আরেক প্রতিষ্ঠা কালীন শিক্ষক। তার পথটাও ছিল মিজানুর রহমানের মতোই। কোন বেতন ছাড়াই ২৩ বছর ধরে তিনি গ্রামের মেয়েদের ইংরেজি শেখানোর চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন,আমাদের এই স্কুল না থাকলে এখানের ছেলে মেয়েরা কোথায় পড়ত? কত মেয়ের জীবন হয়তো থেমে যেত অষ্টম শ্রেণিতেই। আমি তাদের মাঝে নিজের শৈশব দেখি তাদের হাসি, তাদের স্বপ্ন এগুলোই আমাকে টেনে এনেছে প্রতিদিন স্কুলে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠা কালীন প্রধান শিক্ষক গোলাম সরওয়ার। এই বিদ্যালয়ের মূল স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি সরকারী চাকরী ছেড়ে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি শুধু পড়াশোনা শেখাননি, বরং গ্রামের মানুষের মন বদলানোর কাজও করেছেন। তার ভাষায়, “অঞ্জনগাছীতে শিক্ষার আলো জ্বালানো খুব সহজ কাজ ছিলনা। দারিদ্র, অশিক্ষা, বাল্য বিয়ে, এক শ্রেণীর প্রভাবশালী মহলসহ সব কিছুই আমাদের বিরুদ্ধে ছিল। কিন্তু আমরা জানতাম, এই স্কুল যদি বাঁচে, তাহলে গোটা গ্রাম টাই বদলে যাবে। আজ সেই পরিবর্তন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। স্কুলের প্রথম বড় সাফল্য আসাদুজ্জামান কাজল, এই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকেই অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন কলেজও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে নাম করেছে। তবে সবচেয়ে বড় সাফল্য হলো আসাদুজ্জামান কাজল, যিনি এই স্কুলের সাবেক শিক্ষার্থী। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের শিক্ষক। মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলো কাজল। হাঁটু সমান কাদা মাড়িয়ে স্কুলে যেতেন, ধৈর্য্য সহকারে ক্লাস করতেন। তার সাফল্য আজ পুরো গ্রামকে গর্বিত করে, আর অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মনে নতুন স্বপ্ন জন্ম দেয়। কাজল বলেন, এই স্কুল না থাকলে আমি কখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারতাম না। আমাদের মতো পরিবারের সন্তানদের জন্য এই প্রতিষ্ঠান আশীর্বাদ। অসম্ভব কে সম্ভব করার লড়াই, অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা ব্যবস্থার সামনে সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল অর্থের অভাব। একটি স্কুল চালাতে যেখানে প্রয়োজন ভবন, বেঞ্চ, বই, খাতা, ল্যাবরেটরি, সেখানে এই বিদ্যালয়কে শুরুতে নির্ভর করতে হয়েছে স্থানীয় মানুষের সাহায্যেরও পর। অনেক দিন ছেলে মেয়েরা বেঞ্চ পেতনা, টিনশেডের ভাঙাচোরা ঘরে পড়াশোনা করতো। কিন্তু শিক্ষকরা স্কুল ছাড়েননি। অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের দূরে পাঠাতে পারেননি। ফলে টিকে গেছে অঞ্জনগাছীর একমাত্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি। দুই দশকের বেশি সময় ধরে এই স্কুল দারিদ্র্যের ভেতর থেকেও প্রতিনিয়ত সাফল্য দেখিয়েছে। আজও এই বিদ্যালয়ই গরিব শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা। কারো ক্ষমতা নেই, কিন্তু সবাই চায় ভবিষ্যৎ বদলে যাক অঞ্জনগাছী গ্রামের মানুষগুলো খুব সাধারণ। তারা হয়তো বড় বড় স্কুলে সন্তানদের পড়াতে পারেনা, কিন্তু তারা স্বপ্ন দেখে একদিন তাদের সন্তান যেনো চিকিৎসক হয়, শিক্ষক হয়, প্রকৌশলী হয়। এই গ্রামের মানুষদের কাছে সবচেয়ে বড় সম্পদ হলো তাদের সন্তান। আর সন্তানদের সবচেয়ে বড় আশ্রয় অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বাড়ছে সংখ্যা বদলে যাচ্ছে অঞ্জনগাছী, আগে গ্রামের অনেক ছেলে বাড়ির কাজে, মাঠে বা শ্রমিকের কাজ নিয়ে পড়ে যেত। মেয়েরা বাল্য বিয়ের শিকার হতো। এখন সেই পরিস্থিতি পাল্টাচ্ছে। শিক্ষকেরা নিয়মিত অভিভাবক সভা করে বাল্য বিয়ে প্রতিরোধে কাজ করছেন। মিজানুর রহমান বলেন, “আজ যে মেয়েরা ক্লাস নাইনে পড়ে, তাদের অনেকেই বাল্য বিয়ে থেকে বেঁচে গেছে। আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিভাবকদের বোঝাই পড়াশোনা হলে মেয়ের জীবনই বদলে যাবে। শিক্ষকদের ত্যাগে বেঁচে থাকা একটি প্রতিষ্ঠান, অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বর্তমানে ১৫ জন শিক্ষক এবং ৬ জন কর্মচারী কাজ করেন। এরা যে শুধু স্কুল চালান তা-ই নয় এই গ্রামের শিশুদের জন্য ভবিষ্যতের দরজা খুলে দেন। শিক্ষকদের বেতন এক সময় ছিলো শূন্য, এখন এমপিওতে এসেছে এবং এটি পুরো স্কুলের পরিবেশ পাল্টে দিয়েছে। আগে অনেক শিক্ষক কষ্টে টিকে ছিলেন, এখন তারা আরও মন-প্রাণ দিয়ে পড়াতে পারেন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতে পারেন। একটি স্কুল যে বদলে দিচ্ছে পুরো সমাজকে অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয় শুধু শিক্ষার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটি: বাল্য বিয়ে কমাতে ভূমিকা রাখছে, দারিদ্র্য মোকাবিলায় শিক্ষা দিয়ে সহায়তা করছে, তামাকও সামাজিক সমস্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়াচ্ছে, মেয়েদের স্কুলমুখী করছে, অসম্ভবকে সম্ভব করার সাহস জোগাচ্ছে। আজ অঞ্জনগাছী গ্রামে যে উন্নয়নের আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে, তার কেন্দ্র বিন্দু হলো এই প্রতিষ্ঠানটি। শেষ কথা একটি গ্রামের স্বপ্ন আঁকা বিদ্যালয়, অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয় একটি স্কুলের চেয়েও বেশি কিছু। এটি একটি আন্দোলন দারিদ্র্য, অশিক্ষাও বঞ্চনার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এক সংগ্রাম। এটি একটি আশ্রয় প্রত্যেক গরিব পরিবারের সন্তানের কাছে। এটি একটি প্রতীক সাফল্যও সম্ভাবনার। শিক্ষকদের বিনা বেতনে চলা ২৩ বছরের প্রতিকূলতা পেরিয়ে যে বিদ্যালয় আজও দাঁড়িয়ে আছে, শিক্ষার আলো ছড়াচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠান সত্যিই বিরল। এই স্কুলে ভর্তি হওয়া প্রতিটি শিক্ষার্থী একেকটি স্বপ্ন। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবতায় রূপ দিতে প্রতিদিন নীরবে যুদ্ধ করে যাচ্ছেন অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকও কর্মচারীরা। এই বিদ্যালয়ের শিশুরা স্বপ্ন দেখে কেউ ডাক্তার হবে, কেউ শিক্ষক, কেউ প্রফেসর, কেউ সাংবাদিক। আর এই সব স্বপ্নের ভরসা অঞ্জনগাছী মাধ্যমিক বিদ্যালয়। এখন তাদের সাফল্য দেখে কিছু কুচক্রী মহল এবং সাবেক ফ্যাসিষ্টদের দোসর শিক্ষকদের মান সন্মান ক্ষুন্ন করার কাজে লিপ্ত রয়েছে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে