চাটমোহরে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদানের অভিযোগ সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে

এফএনএস (হেলালুর রহমান জুয়েল; চাটমোহর, পাবনা) : | প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:৪১ পিএম
চাটমোহরে পরীক্ষা গ্রহণে বাধা প্রদানের অভিযোগ সহকারি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে

লাগাতার কর্মবিরতি,বার্ষিক পরীক্ষা বর্জনের পর তিন দফা দাবি আদায়ে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি শুরু করেছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকরা। পাবনার চাটমোহরে গতকাল বৃহস্পতিবার সহকারি শিক্ষকরা বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষা প্রদানে বাধা প্রদান করেন বলে অভিযোগ। চাটমোহর পৌর সদরের আফ্রাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আন্দোলনরত সহকারি শিক্ষকরা স্কুল কক্ষে তালঅ ঝুলিয়ে দেন। এসময় অভিভাবক ও এলাকাবাসী এসে প্রতিবাদ জানালে তাদের সাথে বাকবিতন্ডা হয় সহকারি শিক্ষকদের। এসময় বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও দেখা যায়। পরে প্রধান শিক্ষক সামিনুল ইসলাম অভিভাবকদের সহায়তায় পরীক্ষা গ্রহণ করেন। এ ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিভাবকরা জানান,সহকারি শিক্ষকরা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে আন্দোলনের নামে যে অরাজকতা শুরু করেছেন,তার বিহীত হওয়া দরকার। আফ্রাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা দিল আফরোজ বলেন,আমরা তালা ঝুলাইনি। হেড স্যারকে সম্মান করি,যার কারণে আমরা কেন্দ্রের নির্দেশনা পাওয়ার পরও তালা লাগিয়ে বলেছি আজকের পরীক্ষা স্থগিত রাখতে,পরে সেটা নেওয়া হবে। তারপরও অভিভাবকদের সহায়তায় পরীক্সা অনুষ্ঠিত হয়েছে।   

সারাদেশের মতো পাবনার চাটমোহরেও বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন সহকারি শিক্ষকরা। কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলার ১৫৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৯ শতাধিক সহকারি শিক্ষক বুধবার উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেন এবং মানববন্ধন করেন। সহকারি শিক্ষকরা অবিলম্বে তাদের দাবি মেনে নিয়ে ১১তম গ্রেড প্রদান করার দাবি জানান। শোকজ করলে সকল শিক্ষককে শোকজ করতে হবে বলে বক্তারা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কোন সহকারি শিক্ষক ক্লাসে যাবেন না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

এদিকে সহকারি শিক্ষকদের আন্দোলনে অনেক অভিভাবক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন,শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে এ ধরণের আন্দোলন তারা করতে পারেন না,তাদের সমর্থন করা যায়না। অভিভাবকরা বলেন,এসকল শিক্ষক এমনিতেই বছরে অনেকদিন ছুটি ভোগ করেন,বাড়ির পাশে থেকে চাকুরি করেন। তারপরও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে কেন এই আন্দোলন। অভিভাবকরা দ্রুত আন্দোলন প্রত্যাহারের আহবান জানান।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে