সিপিবি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি আক্রমণে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি | প্রকাশ: ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:৫৪ পিএম
সিপিবি নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি আক্রমণে ক্ষোভ ও প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম বন্দরের লাভজনক নিউমুরিং টার্মিনালসহ তিনটি টার্মিনাল বহুজাতিক কোম্পানির কাছে হস্তান্তরের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টায় বামপন্থি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ ‘যমুনা যাত্রা’ কর্মসূচিতে পুলিশের অতর্কিত আক্রমণ ও বেধড়ক লাঠিচার্জের ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সমাবেশ শেষে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনা অভিমুখে মিছিল পুরানা পল্টন মোড়, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায় এবং বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। এ সময় সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতনকে রাজপথে ফেলে নির্মমভাবে পেটানো হয়। পুলিশের বর্বর নির্যাতনে সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শ্রমিকনেতা কাজী রুহুল আমিনের মাথা ফেটে যায়। এ সময় অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সিপিবি সাধারণ সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের বর্বর পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে আজ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতিমণ্ডলী অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারীকে অবিলম্বে অপসারণের দাবি জানিয়েছে। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, বিনা উস্কানিতে সিপিবি সাধারণ সম্পাদককে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে আজ পুলিশ যে বর্বরতা চালিয়েছে তা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং পরিস্থিতি প্রত্যক্ষ করে এই ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে হয়েছে। সিপিবির সভাপতিমণ্ডলীর যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ উৎসর্গ করার মধ্য দিয়ে মুক্ত দেশে বিদেশ থেকে ফিরে এসে যারা শপথ নিয়ে কর্তৃত্ব গ্রহণ করেছেন, তাদের উদ্দেশ্য আজকে দেশবাসীর সামনে পরিস্কার। ড. ইউনূস সরকার শেখ হাসিনার অনুসৃত পথে জাতীয় সম্পদ বহুজাতিক কোম্পানির হাতে হস্তান্তর করছে শুধু নয়, এসকল অপকর্মের প্রতিবাদকারী সম্মুখ যোদ্ধাদের চিহ্নিত করে ফ্যাসিবাদী কায়দায় নিপীড়ন-নির্যাতন করা হচ্ছে। কাকরাইল মোড়ের পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় সিপিবি সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী রুহুল আমিন ছাড়াও গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন বাসদ (মার্কসবাদী)’র কেন্দ্রীয় নেতা সীমা দত্ত, সাবেক ছাত্রনেতা জহর লাল রায়, দীপক শীল, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় অন্তু অরিন্দম, প্রিজম ফকির, ছাত্রনেতা ইমতিয়াজ রাফিন, শোয়াইব আহমেদ আসিফ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট নেতা সুস্মিতা মরিয়মসহ অন্তত অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। 

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে