পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করার অধ্যাদেশ উপদেষ্টা পর্ষদে পাস করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি বলেন, “আজকে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ পাস করা হয়েছে। পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি পুলিশ কমিশন গঠন করার অধ্যাদেশ পাস করা হয়। এই কমিশনের প্রধান থাকবেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের কোনো একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। যিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কাজ করেছেন। গ্রেড ওয়ানের নিচে নয় এরকম কোনো সরকারি কর্মকর্তা। গ্রেড ওয়ানের নিচে নন এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, তিনি কর্মরত হতে পারেন, অবসরপ্রাপ্ত হতে পারেন। মানবাধিকার এবং সুশাসন বিষয়ে কাজ করেছে অন্তত ১৫ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে।”
পুলিশ কমিশন গঠনের উদ্দেশ্য জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “পুলিশকে জনবান্ধব-জনমুখী করা। এই কমিশন সরকারের সঙ্গে মিলে কাজ করবে। পুলিশ যেন প্রভাবমুক্ত হয়ে কাজ করতে পারে সেই ব্যাপারে কি কি করণীয় এই বিষয়ে কমিশন সরকারকে সুপারিশ দেবে। পুলিশ যাতে মানবাধিকার সংবেদনশীল হয়, সে বিষয়ে পুলিশের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কি ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার, এগুলো তারা চিহ্নিত করবে।”
‘কমিশনের আরও দুটো গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে, নাগরিক যে অভিযোগগুলো থাকবে পুলিশের ব্যাপারে, সেগুলোর তদন্ত নিষ্পত্তি করা। পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে সেগুলোরও নিষ্পত্তি করা। এই হচ্ছে পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশের মূল ফিচার’-উল্লেখ করেন তিনি।
রিজওয়ানা আরও যোগ করে বলেন, “পুলিশিং কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনয়ন, শৃঙ্খলা এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। নাগরিকের অভিযোগ অনুসন্ধান ও নিষ্পত্তি। পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কল্যাণমূলক ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি বিষয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন বা কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের সরকারকে সুপারিশ দেওয়া। আর পুলিশ সংক্রান্ত যে সমস্ত আইন নীতি গবেষণা করতে হবে এগুলোর বিষয়েও সরকারকে সুপারিশ প্রদান করা।”
প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় উপদেষ্টা পর্ষদের বৈঠকে এ অধ্যাদেশ পাস করা হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।