গাইবান্ধা জেলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপির) কার্যালয়ে তালা দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। জেলা নেতৃত্বে ফ্যাসিবাদের দোসর থাকায় কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয় বলে দাবি তাদের। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে গাইবান্ধা শহরের থানা পাড়ার অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন তারা।
এসময় গাইবান্ধা জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব বায়েজিদ বোস্তামী জিম, সংগঠক অতনু সাহা, আব্দুলাহ জিসান, মেহেদী হাসান উপস্থিত ছিলেন।
জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন বলেন, “এনসিপির গাইবান্ধা জেলা কমিটিতে জাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক, সাবেক সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও গাইবান্ধা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি খাদেমুল ইসলাম খুদিকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। এটা জুলাই আন্দোলনের যোদ্ধাদের সঙ্গে বেঈমানি করা হয়েছে। তাই আমরা এনসিপির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়েছি।”
গাইবান্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক অতনু সাহা বলেন, “খাদেমুল ইসলাম খুদিকে পুনর্বাসিত করায় জুলাই যোদ্ধাদের সন্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে। এ কারণে আমরা এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে তালা দিয়েছি। এই কমিটি আমরা বাতিল চাই।
আমরা এ ব্যাপারে জানতে আহ্বায়ক কমিটির সদস্য, গাইবান্ধা জেলা এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগ, আহ্ববায়ক ফিয়াদুর রহমান দিবস ও উত্তরাঞ্চল সংগঠক সারজিস আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের বক্তব্য পাইনি।’’ এনসিপির জেলা কমিটি বাতিল ছাড়াও ফ্যাসিবাদের দোসর খাদেমুল ইসলাম খুদির গ্রেপ্তার দাবি করেন তারা। গাইবান্ধা জেলা এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক নাজমুল হাসান সোহাগের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে খাদেমুল ইসলাম খুদি বলেন, ‘‘আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার নিজের দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস আছে। আমি কখনো ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। এমনকি তার দোসরদের সঙ্গেও আমার রাজনৈতিক যোগাযোগ নেই। জাসদের রাজনীতির বর্তমান প্রেক্ষাপট আমার মতের পরিপন্থি।’’
তিনি আরো বলেন, ‘‘আমি জুলাইয়ের আদর্শ ধারণ করতেই এনসিপিতে যোগ দিয়েছি।’’