পিরোজপুরে কাউখালীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা কেনার জন্য ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে স্লিপের টাকা থেকে ক্রয় করার নির্দেশ দেয়। মন্ত্রণালয় স্ব-স্ব স্কুল কর্তৃপক্ষকে বাজার দর যাচাই বছাই করে এ বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয় করার জন্য বললেও কাউখালীতে কয়েকজন শিক্ষক সমিতির নেতাদের তত্ত্বাবধানে এই বায়োমেট্রিক হাজিরা ক্রয়ের অভিযোগ ওঠে । অথচ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল যে শিক্ষা অফিস, শিক্ষক অথবা কোন ব্যক্তি এই ক্রয় কাজে হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অথচ কাউখালীতে সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রধান শিক্ষকদের মাসিক সমন্বয় সভায় শিক্ষক নেতারা মিটিং সিদ্ধান্ত নেন সকল প্রধান শিক্ষকদের সামনে এশিয়ান ইলেকট্রনিক্সের একজন কর্মকর্তাকে উপস্থিত করেন এবং তার কাছ থেকে ডিভাইস ক্রয় করতে হবে বলেন। যার মূল্য প্রায় ১৯ হাজার টাকা।
সেই অনুযায়ী উপজেলার ৬৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে ৬৬ টি স্কুলে ডিভাইস লাগানো হয়। অথচ শর্ত অনুযায়ী উনিশ হাজার টাকার বিনিময়ে যে সমস্ত মালামাল ও সেবা দেয়ার কথা তা আদৌ কোম্পানি বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি ৪-৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডিভাইস লাগিয়ে ১৯ হাজার টাকা নিয়েছে কোম্পানি । যে ডিভাইস দিয়ে আদৌ কোন উপকারে আসেনি । অথচ মধ্যস্থতাকারি শিক্ষক নেতারা সহ ১৭টি বিদ্যালয় কোম্পানিকে ওই সময় কোন টাকা দেয়নি ।হাজিরা ডিভাইস স্থাপনের পাঁচ বছর পর ২০২৫ সালে কোম্পানির ম্যানেজার ১৭ স্কুলের ডিভাইস বাবদ বকেয়া ১৯ হাজার টাকা দাবি করে চিঠি প্রদান করে। কয়েকজন শিক্ষক এই চিঠি কে চ্যালেঞ্জ দিয়ে নিম্নমানের মালামাল ও অকার্যকর ডিভাইস এর বিষয়ে প্রতিবাদ জানান। শিক্ষকরা বলেন, এশিয়ান ইলেকট্রনিক্স তাদের সাথে চুক্তি অনুযায়ী মালামাল প্রদান করেননি । বিভিন্ন স্কুল থেকে ১৯ হাজার টাকা নিলেও চার-পাঁচ হাজার টাকা মূল্যের একটি ডিভাইস প্রদান করেন অন্যান্য সেবা না দেওয়ায় ওই ডিভাইস কোন কাজে আসেনি । এই অভিযোেগে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিবুর রহমান জানিয়ে ছিলেন কোম্পানির কাছে চুক্তি মোতাবেক মালামাল না দেওয়া এবং অল্প টাকার মাল দিয়ে অধিক পরিমাণে টাকা নেওয়ার বিষয় ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। অথচ তিনি তার কথার সাথে কাজের কোন মিল না রেখে উল্টো ১৭টি স্কুলের টাকা প্রদান করা থেকে বিরত ছিল তাদেরকে চাপ দিয়ে টাকা আদায় করে নেন।
এ ব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি সুব্রত রায় বলেন, কোন অনিয়ম করা হয়নি। প্রতিটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা নিজেরাই উক্ত কোম্পানির কাছ থেকে ডিভাইস ক্রয় করেছেন।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ মনিবুর রহমান বলেন , এশিয়ায় ইলেকট্রনিক্স কোম্পানির ১৭টি স্কুলের বাকি পাওনা টাকা পরিশোধ করার জন্য চিঠি দিয়েছি। তবে এর ভিতরে কোন অনিয়ম আছে কিনা এজন্য তদন্ত চলছে।