কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলনের মহোৎসব চলছে। একটি বালু খেকো চক্র আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে এখন পর্যন্ত অবৈধভাবে ব্রহ্মপত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন করে দেদারচ্ছে বিক্রি করছে। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেও কোন প্রকার ফলাফল পাচ্ছে না। বালু উত্তোলন করায় ব্রহ্মপুত্র নদের গতিপথ পরিবর্তন হওয়াসহ নদী ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়ে হুমকির মুখে পড়েছে ডানতীর রক্ষা বাঁধ, রমনা রেলস্টেশন, রাজারভিটা ফাযিল ও আলিম মাদ্রাসা, রাজারভিটা ও উত্তর রমনা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ অসংখ্য স্থাপনা।
বিশেষ করে উপজেলার রাজারভিটা এলাকার মাঝস্থল, পুটিমারী কাজলডাঙ্গা, নন্দী গ্রাম, টোন গ্রাম বালু উত্তোলন করে ড্রাম ট্রাক ও ট্রাক্টরের মাধ্যমে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করছে।
রাজারভিটা এলাকার আব্দুল হামিদ বলেন, একটি বালু খেকো চক্র আওয়ামী লীগ সরকারের সময় থেকে এখন পর্যন্ত দিনে-রাতে বালু উত্তোলন করে দেদারচ্ছে বিক্রি করে আসছে। উপজেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোন ফল পাওয়া যাচ্ছে না।
রমনা ঘাট এলাকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, বালু উত্তোলনের ফলে নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে নদী তীরবর্তি এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোপূর্বে বৈলমন্দিয়ারখাতা, কড়াইবরিশাল ও বান্ডাল এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার ৫০টি বাড়ি-ঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন,‘অভিযোগ পেয়েছি। বালু উত্তোলন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিবুল হাসান বলেন,‘স্থানীয় প্রশাসনের সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’