নিকুঞ্জে ব্যক্তিগত বাসভবন ঘিরে রাষ্ট্রের কোটি টাকার ক্ষতি

সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ৭ ডিসেম্বর, ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান

রাজধানীর নিকুঞ্জ–১ এলাকায় ব্যক্তিগত বাসভবনের আশপাশে সৌন্দর্যবর্ধন ও সাজসজ্জার নামে প্রায় ২৪ কোটি টাকা রাষ্ট্রের ক্ষতিসাধনের অভিযোগে সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। অভিযোগে আরও রয়েছে, এসব উন্নয়নকাজের সঙ্গে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের বিষয়টিও জড়িত থাকতে পারে।

রোববার (৭ ডিসেম্বর) দুদকের মহাপরিচালক প্রতিরোধ মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কমিশন কোনো ব্যক্তির পদ বা পরিচয় দেখে অনুসন্ধান চালায় না, অভিযোগের বস্তুনিষ্ঠতাই তাদের প্রধান বিবেচনা।

নিকুঞ্জ–১ এলাকার লেকড্রাইভ রোডের ৬ নম্বর প্লটে অবস্থিত তিনতলা ডুপ্লেক্স বাড়িটিতে ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব শেষে সপরিবারে ওঠেন আবদুল হামিদ। অভিযোগ রয়েছে, ওই বাসভবনের দুপাশের রাস্তায় হাঁটার জন্য বাধা সৃষ্টি করে নান্দনিক ডেক নির্মাণ, ঝুলন্ত ব্রিজ যোগ করা এবং খালসংলগ্ন এলাকায় অত্যাধুনিক ল্যাম্পপোস্ট বসানোর মতো বিভিন্ন উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করা হয় সরকারি অর্থে। এগুলোর বেশিরভাগই ব্যক্তিগত সুবিধাকে কেন্দ্র করে করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

দুদক ইতোমধ্যেই এসব অভিযোগের প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছে। কমিশন-সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের অর্থায়ন, অনুমোদন প্রক্রিয়া, বাস্তবায়নকারী সংস্থা এবং প্রকৃত ব্যয় নিয়ে বিস্তারিত যাচাই করা হবে। একই সঙ্গে দেখা হবে এই কার্যক্রমগুলো সরকারের নিয়মিত উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় ছিল কি না।

অভিযুক্ত উন্নয়নকাজের প্রকৃতি ও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ বিবেচনা করেও দুদক যাচাই চালাবে। নিকুঞ্জ এলাকার বাসিন্দারা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন যে লেকড্রাইভ রোডের নির্দিষ্ট অংশ হাঁটার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এবং ব্যক্তিগত বাড়ির সৌন্দর্য বাড়াতে অতিরিক্ত সরকারি ব্যয় করা হয়েছে।

দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, “কমিশন কারও পরিচয় দেখে নয়, অভিযোগের ভিত্তি ও বাস্তবতার উপর নির্ভর করেই পদক্ষেপ নেয়। এখন যেসব অভিযোগ এসেছে, সেগুলোর তথ্য-প্রমাণ যাচাই করা হবে।”

এই অনুসন্ধান আনুষ্ঠানিক তদন্তে রূপ নেবে কি না, তা নির্ভর করবে দুদকের প্রাথমিক অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা কতটা পাওয়া যায় তার উপর।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে