কুষ্টিয়ার দৌলতেপুরে ৮ ডিসেম্বর দৌলতপুর মুক্ত দিবস। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র সংগ্রামের পর বিভিন্ন স্থানে সম্মুখ যুদ্ধে পরাজিত হয়ে এই দিনে পাকিস্তানী হানাদাররা মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্বসর্মপন করে, তৎকালীন দৌলতপুর থানায় পাক হানাদারদের সাথে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ সংগঠিত হয় ১৯৭১ সালের ১৩ নভেম্বর আদবাড়িয়া ইউনিয়নের ব্যাঙগাড়ী মাঠে। সেখানে ৪ জন মুক্তিযোদ্ধা এবং ২ জন মিত্রবাহিনীর সদস্য শহীদ হন। এ যুেদ্ধ প্রায় ৩ শতাধিক পাকসেনা নিহত হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর পিয়ারপুর ইউনিয়নের শেরপুর মাঠে পাকহানাদারদের সাথে আরেকটি বড় যুদ্ধে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান হাবিব শহীদ হন। এ যুদ্ধে প্রায় শতাধিক পাকসেনা ও প্রায় দুই শতাধিক আলবদর ও রাজাকার নিহত হওয়ার পর পাকসেনা ও রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে দৌলতপুর থানার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেয় এবং ৭ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে পাকসেনারা পালিয়ে কুষ্টিয়ার শহরতলী জগতি বটতৈল এলাকায় আশ্রয় নেয়। দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করতে পাকসেনাদের সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের মোট ১৬টি সম্মুখ যুদ্ধ সংঘঠিত হয়। আজকের এই দিনে বীর মুক্তি যোদ্ধারা বিজয় পতাকা উড়ানোর মধ্যদিয়ে মুক্তিকামী বীর সূর্য সন্তানেরা দৌলতপুরকে হানাদার মুক্ত করেন। দৌলতপুরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিক ভাবে উত্তোলনের মাধ্যমে দৌলতপুর কে শত্র“মুক্ত ঘোষণা করে।দৌলতপুরকে হানাদারমুক্ত ঘোষণা করেন তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধা ৮নং সেক্টরের সাব-সেক্টর কমান্ডার মেজর নুরুন্নবী। দিনটি উপলক্ষ্যে দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসুচী পালন করবে।
৮ ডিসেম্বর এই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর সম্মুখ যুদ্ধে রফিক নিহত হয়। এ উপলক্ষে
তারাগুনিয়ার শহীদ রফিক নগরে রফিক দিবস পালন করা হয়। দৌলতপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোঃ রিয়াজউদ্দিনের
সভাপতিত্বে রফিক দিবস উপলক্ষে ৮ডিসেম্বর সোমবার সকাল ৮ টায় শহীদ রফিক নগরে আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ রওশন আলী, মোঃশাহাবুদ্দিন,
মোঃআওরঙ্গজেব, মোঃআকবর আলি।